বাজারে আসছে ট্রাম্পের নামে টয়লেট পেপার!

Softness without borders, Trump toilet Paper

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

মেক্সিকোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে টয়লেট পেপার বাজারে আসছে। এ প্রসঙ্গে দেশটির এক আইনজীবী বৃহস্পতিবার ১ জুন বলেছেন, ট্রাম্পের সমালোচনার মাধ্যম হিসেবে দেশটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নামে টয়লেট পেপার বিক্রি হবে।

এন্তোনিও বাটাগলিয়া নামের এই আইনজীবী ২০১৫ সালে ট্রাম্প নামে টয়লেট পেপার বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেন। সে সময়েই মার্কিন ধনকুবের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রচারণাকালে মেক্সিকোর অভিবাসীদের কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন। প্রচারণার সময় ট্রাম্প বলেন, মেক্সিকো যখন এদেশে লোক পাঠায়, তখন তাদের সেরা লোককে পাঠায় না। তাদেরই পাঠায় যাদের নিয়ে খোদ মেক্সিকো সমস্যায় থাকে। সেসব মানুষ এদেশে এসে মাদক, সন্ত্রাসের মতো অপরাধে জড়িত হয়।

Softness without borders, Trump toilet Paper

এই বছরের শেষ নাগাদ ট্রাম্প টয়লেট পেপার মেক্সিকোর বাজারে আসার কথা। পণ্যটির শ্লোগান হবে, ‘সীমানা ছাড়াই নরম’ (Softness without borders)… পণ্যটির গায়ে ট্রাম্পের ব্যঙ্গাত্মক ছবিও থাকবে।

টয়লেট পেপারটি বাজারে ছাড়া প্রসঙ্গে এন্তোনিও বলেন, আমি মজা করেই পণ্যটি বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করি। যদিও আমি অন্য যে কোনো পণ্যই বের করতে পারতাম। ট্রাম্প যখন আমাদের নিয়ে কটাক্ষ করতে থাকলেন তখন থেকেই চিন্তাটা মাথায় আসে।

তবে ট্রাম্প টয়লেট পেপার ঠাট্টার থেকেও বেশি কিছু বলে জানাচ্ছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম Anadolu Agency. পণ্যটিকে শক্তিশালী সামাজিক উপকরণ হিসেবেই মেক্সিকোয় দেখা হচ্ছে। এই টয়লেট পেপার উৎপাদনের পেছনে বাটাগলিয়া বেশ অর্থ খরচও করছেন। প্রায় ৪ লাখ পেসো অর্থাৎ ২১ হাজার ৫শ’ ডলার।

এ প্রসঙ্গে বাটাগলিয়া বলেন, যারা ট্রাম্পের কথায় অপমানিত ও কষ্ট পেয়েছেন তারা পণ্যটি ব্যবহার করে শান্তি পাবেন। বিশেষ করে অভিবাসী মানুষেরা, যারা কষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রকে উন্নতির এই অবস্থায় নিয়ে এসেছেন।

পণ্যটিতে লাভ ভালোই হবে বলে মনে করছেন উৎপাদক এই আইনজীবী। তিনি ২০১৫ সালেই ট্রাম্পের নামে পণ্য বিক্রির ছাড়পত্র বের করেন। আগামী ১০ বছর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন থাকায় টয়লেট পেপারটি বিক্রিতে কোনো বাধা থাকবে না।

সূত্র : ট্রাম্পের নামে টয়লেট পেপার আনছে মেক্সিকো (পরিবর্তন, ৩ জুন ২০১৭)
Mexican company to roll out Trump toilet paper that boasts ‘softness without borders’ (The Telegraph, 1 June 2017)

Similar Posts

error: Content is protected !!