আব্দুল্লাহ আল মহসিন ||
কিশোরগন্জের হাওরবেষ্টিত উপজেলা নিকলীতে বোরো ফসল কাটার চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে| উপজেলার নিকলী, দামপাড়া, কারপাশা,সিংপুর, ছাতিরচর, গুরুই, জারুইতলা মোট ৭টি ইউনিয়নের ১২৮টি গ্রামের ঘরে ঘরে চলছে একফসলী নতুন ধান উঠানোর প্রস্তুতি| কৃষক কৃষাণী হাওরে, নদীর তীরে মাড়াই জাড়াইয়ের জন্য তৈরি করে রেখেছে খোলা, আর ধান বাড়ীতে রাখার জন্য বানিয়েছে গোলা|
হাওরে এখন এক মনোহর দৃশ্য| রাশি রাশি কাঁচা-পাকা ধানক্ষেত, জমিনে বাতাসে তার শীষ দোল খায়| চারদিক মাতোয়ারা নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে|
সবচেয়ে বড় হাওর জনশাইয়ের বাথানে জিরাতিরা ধান কাটার সব উপকরণ নিয়ে ছুটছে| ময়মনসিংহ, নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ধাওয়ালরা দলে দলে আসাও শুরু করেছে| নিকলীর বড়পুকুর পাড় গ্রামের কৃষক আঃ রশিদ জানান, হাওরে ব্রি-ধান ২৮ টুকটাক কাটা শুরু হয়েছে| তবে বৈশাখের ১ম সপ্তাহ থেকেই পুরোপুরি ধান কাটা শুরু হতে পারে|
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার হাওরে ১৫,২০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ হয়| তবে ১৫,১১১ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করতে পেরেছে| কৃষকরা ব্রি ধান ২৮, ব্রিধান ২৯, ব্রিধান হাইব্রিড চাষ করেছে|
সরেজমিনে কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা আশা করছেন, অকাল বন্যা, কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং ধান বাজারে প্রকৃত মূল্যে বিক্রি করতে পারলে এবার হাওরের কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে|