কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ায় জনপ্রিয় নূর মোহাম্মদের গণসংযোগ

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন পুলিশের সাবেক আইজি, সচিব ও কূটনীতিক নূর মোহাম্মদ। নিয়মিত গণসংযোগ ও প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে গণসংযোগ ও প্রচারণায় নির্বাচনী এলাকায় বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। যেখানেই যাচ্ছেন, তার প্রতিটি কর্মসূচীই সফল হচ্ছে। মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ এবং কৌতুহল তৈরি হয়েছে তাকে ঘিরে। মানুষ তার কথা কেবল শুনতে চায় না, তাকে এক নজর দেখতেও চায়। জনতার এই মিছিলে যোগ দিচ্ছেন নারীরাও। তারাও স্লোগান আর উচ্ছ্বাসে রাজনীতিতে বরণ করে নিচ্ছেন তাকে।

জনগণের এমন স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া আর ভালবাসায় অভিভূত নূর মোহাম্মদ নিজেও। ফলশ্রুতিতে মানুষের এই ভালবাসা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সাবেক পুলিশ প্রধান, কূটনীতিক ও সচিব নূর মোহাম্মদ। তিনি বলছেন, ‘চাকরি জীবন থেকেই এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে আছি। আমার মনে হয়, মানুষকে আরো ভাল রাখার জন্য, তাদের আরো কিছু দেয়ার জন্য আমি চেষ্টা করতে পারি। সেই চেষ্টা করার মানসিকতা থেকে আমি নির্বাচনী মাঠে নেমেছি। মানুষের ভালবাসা নিয়ে মানুষের জন্য, এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’

এলাকার নানা স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নূর মোহাম্মদ ছোটবেলা থেকেই এলাকায় একজন শান্ত ভদ্র ছেলে হিসেবে পরিচিত। ছেলেবেলায় সবাই কারো না কারো সঙ্গে খেলাধুলা হোক আর অন্য কিছু নিয়েই হোক, একবার না একবার ঝগড়াবিবাদ করেনি, এমন দৃষ্টান্ত পাওয়া খুব দুষ্কর। কিন্তু নূর মোহাম্মদ এক্ষেত্রে একেবারেই ব্যতিক্রম। কারো সঙ্গেই বনিবনার সঙ্কট বা ঝগড়া ফ্যাসাদের ঘটনা ঘটেনি। নিজের মত শান্ত ভঙ্গিতে স্কুলে যেতেন, আবার নিরবে বাড়ি ফিরতেন। ছোটবেলায় তাকে এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠরা সবসময় স্নেহ করতেন।

নূর মোহাম্মদ ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে অনার্সসহ মাস্টার্স করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় জিয়াউর রহমানের শাসনামলে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে তিনি ঐহিত্যবাহী হাজী মোহাম্মদ মহসীন হলে ছাত্র সংসদে জাসদ পন্থী ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন ডাকসুতে জাসদ পন্থী ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভিপি-জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন যথাক্রমে মাহমুদুর রহমান মান্না ও আক্তারুজ্জামান।

ছাত্রজীবন শেষ করে তিনি বিসিএস পরীক্ষায় কৃতীত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে এএসপি পদে যোগদান করেন। তাঁর পুলিশ বিভাগের কর্মময় জীবনে যখন যেখানেই চাকরি করেছেন, সবখানেই সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মস্থলের জনগণের সঙ্গেও তার সহজ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কোথাও কোথাও তার বদলির সময় জনগণ বদলির বিরুদ্ধে মিছিলও করেছেন।

পুলিশ বিভাগের মহাপরিদর্শক হিসেবে তিনি তার চাকুরিজীবনের ইতি টানেন। এই পদেও তিনি অত্যন্ত সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। আর সেই কারণেই তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘকালীন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন। চাকুরি জীবন শেষ করার পর তার কর্মজীবনের নিষ্ঠা ও সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে সরকার তাকে সচিব এবং রাষ্ট্রদূত হিসেবেও নিয়োগ দিয়েছিল।

বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পুলিশের আইজি ছিলেন। এরপর মহাজোট সরকারের আমলে তাকে মরক্কোর অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করা হয়। একই আমলে অ্যাম্বাসেডর থেকে ফিরিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। গেল বছরের নভেম্বরে সরকারি চাকরি থেকে তিনি অবসরে গেছেন।

এলাকায় নূর মোহাম্মদ বেশ জনপ্রিয়। জনগণ তার মত শিক্ষিত, যোগ্য এরকম সদালাপী, মিশুক প্রকৃতির মানুষকে এবার এলাকার সংসদ সদস্য পদে দেখতে চায়। আর সেই কারণেই নূর মোহাম্মদ আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় গণসংযোগ করছেন। নূর মোহাম্মদের এমন নির্বাচনী প্রচারণায় এলাকার সব মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গণসংযোগ ও প্রচারণায় নির্বাচনী এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি।

সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নূর মোহাম্মদ এর তৎপরতায় কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ার নির্বাচনী রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন সমীকরণ। তাঁকে ঘিরেই এখন চাঙা কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ার নির্বাচনী রাজনীতি।

সূত্র : জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ায় অভিভূত নূর মোহাম্মদ  [কিশোরগঞ্জ নিউজ, ২১ এপ্রিল ২০১৮]

Similar Posts

error: Content is protected !!