হাটহাজারীতে কোচিং ব্যবসা জমজমাট : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী প্রতিনিধি ।।

হাটহাজারী পৌর সদরের বিভিন্ন স্থানে কোচিং ব্যবসা জমজমাট। কোনো নিয়মনীতি না থাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা কোচিংয়ে পড়তে আসে। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকের দেয়া সময়মতো কোচিং সেন্টারে কোচিং পড়তে বাধ্য হচ্ছে। ক্লাস সময় নিয়ে ছাত্রদের বেলায় সমস্যা না থাকলেও সমস্যায় পড়তে হয় ছাত্রীদেরকে। বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টারে মেয়েদের সান্ধ্যকালীন ব্যাচে আসতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সব কোচিং সেন্টারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে অভিভাবকরা।

কোচিংয়ের এ ব্যবসার ফলে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্কুল-কলেজের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। এমনকি অনেক শিক্ষক জড়িয়ে পড়েছেন এ ব্যবসায়; যা উদ্বিগ্ন করেছে অবিভাবকদের। অনেক শিক্ষক ক্লাসে একটি অংক করানোর পর অপরটি বাসায় করাবো বলে ছাত্রছাত্রীদের বাধ্য করে প্রাইভেট পড়তে। কিছু কিছু শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়লে ক্লাস পরীক্ষায় নম্বর পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

পৌর সদরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, স্কুলের শিক্ষক ও বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাসা ভাড়া নিয়ে রাত দিন কোচিং ক্লাস করছে। কিছু কিছু কোচিং সেন্টার রয়েছে না দেখলে বোঝা যায় না। কোচিং সেন্টারগুলোতে চলে নানা রকমের ঘটনা।

কোচিং সেন্টারগুলোতে মানসম্মত ক্লাস, অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা, শিক্ষার মান ও পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন অবিভাবকরা। সদর কলেজ গেইটস্থ অলি-গলিতে কোচিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। ক্লাস রুমগুলোতে গাঁদাগাঁদি করে ছাত্রছাত্রীদেরকে ক্লাস করতে হচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা ও পরিবেশ দু’টো বিবেচনা করতে গেলে এ সব কোচিং সেন্টারে বসাও যাবে না।

কলেজ গেইট এলাকায় দেখা যায় ২/৩ জন ছাত্রী ক্লাস করতে এলে শিক্ষকরা ক্লাসরুম বন্ধ করে ছাত্রীদের সাথে আড্ডা জমায় যাতে এ সব দৃশ্য কারোর চোখে না পড়ে। ৪/৫ জনের আলাদা আলাদা ব্যাচ করে কোচিংয়ে ক্লাস নেন এসব শিক্ষকরা। আবার কখনো দেখা যায় একজন ছাত্রী নিয়ে শিক্ষক কোচিং দেন দীর্ঘক্ষণ যার মাঝে চলে নানা রকমের আড্ডা।

এভাবেই বুলিসর্বস্ব বাণী দিয়ে চলছে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা হাটহাজারী অর্ধশতাধিক কোচিং হোম। এ ব্যাপারে স্কুল-কলেজের পড়ালেখার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও পৌর প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।

Similar Posts

error: Content is protected !!