বিশ্বের প্রথম ভাসমান টানেল তৈরি করছে নরওয়ে

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

ফিয়র্ডের দেশ নরওয়ে। এগারোশ’রও বেশি টানেল আছে সেখানে। এর মধ্যে ৩৫টি পানির নীচে অবস্থিত। তবে এবার এমন টানেল তৈরি করতে চাইছে তারা, যেটি পানিতে ভাসবে।

উন্নয়নের পক্ষে বাধা
নরওয়েতে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ সেখানকার ফিয়র্ডগুলো। তবে ফিয়র্ডের কারণেই সে দেশের বিভিন্ন স্থানে সেতু, তথা অবকাঠামো নির্মাণের কাজটি কঠিন হয়ে যায়। সেই সমস্যার সমাধানে এবার ভাসমান টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে নরওয়ে।

সময় বাঁচানো
নরওয়ের ক্রিস্টিয়ানসান্ড ও ট্রডেনহাইম শহরের মধ্যে দূরত্ব ৮০০ কিলোমিটার। কিন্তু এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে সময় লাগে ২১ ঘণ্টা। কারণ সাতটি ফেরি পার হতে হয়। ভাসমান টানেল হলে সময় লাগবে ১০-১১ ঘণ্টা।

বিশাল বয়া
টিউবের মতো দেখতে টানেলটি পানির প্রায় ৩০ মিটার নীচে থাকবে। টানেলকে ভাসিয়ে রাখতে পানির উপরে থাকবে বয়া বা প্লবক। প্রয়োজন হলে সাগর তলদেশেও ঠেস দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

বাজেট
২০৩৫ সালের মধ্যে টানেল তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাজেট ধরা হয়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলার।

জাহাজের জন্য রাস্তা
পানির স্রোত আর ঠান্ডা তাপমাত্রা সামলানোর ক্ষমতা থাকতে হবে টানেলের। তাছাড়া বয়াগুলো এমন দূরত্বে বসাতে হবে যেন বড় বড় জাহাজগুলো টানেলের কোনো ক্ষতি না করেই পেরিয়ে যেতে পারে।

সাইকেল ও হাঁটার পথ
টানেলের মধ্যে সাইকেল ও পায়ে হাঁটার রাস্তাও রাখা হতে পারে। টানেলের ভেতরের পরিবেশ আরামদায়ক করতে গাছ লাগানোসহ বিশেষ লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হতে পারে।

একমাত্র সমাধান
নরওয়েতে এগারোশ’রও বেশি আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল আছে। এর মধ্যে ৩৫টি পানির নীচে। তবে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের ফিয়র্ডে পানির গভীরতা ও প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ভাসমান টানেল স্থাপনই একমাত্র সমাধান।

সূত্র : ডয়চে ভেলে, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

Similar Posts

error: Content is protected !!