মহাস্থান (বগুড়) প্রতিনিধি ।।
বগুড়া পল্লীতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে গভীর রাতে বসতবাড়িতে আগুন, বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের আপ্রাণ চেষ্টায় বেঁচে গেল নারী শিশুসহ বাড়ির ৭ জনের প্রাণ।
সরজমিনে ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) দিবাগত রাত অনুমান ১টায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে বগুড়া সদরের নামুজা ইউনায়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম রাসেল মামুনের বাড়ির গেটে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে বাড়ির পাশের মৃত সোলায়মানের পুত্র আজিজার রহমান ও মৃত নইম উদ্দিনের পুত্র আব্দুস সাত্তারের ৩টি খড়ের পালা এবং চেয়ারম্যানের গাড়ী রাখার গ্যারেজে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগায়।
এর পরেই মামুনের বসবাস করার বাড়ির টিনের চালে ও কাঠের বাটামে কাপড়ের টুকরা দিয়ে প্যাঁচিয়ে পেট্রল দিয়ে আগুন লাগায়। তৎক্ষণাৎ পাশের বাড়ির আব্দুল আজিজ ও তার স্ত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার জন্য ঘুম থেকে উঠে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর দৃশ্য দেখে চিৎকার দিলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তখন বাড়ির লোকজন গেটের তালা ভেঙ্গে ও প্রতিবেশীরা এসে বাড়ির আগুন নিভাতে চেষ্টা করে। কিন্তু খড়ের পালার আগুন নিভাতে না পারায় বগুড়া ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে অল্প সময়ে তারা ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভাতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্রতিবেশী আর্তচিৎকার না শুনতে পারলে অথবা তারা আগুন দেখতে না পারলে চেয়ারম্যানের পরিবারের নারী শিশুসহ প্রায় ৭ জন সদস্যের মৃত্যু হতো। এ ব্যাপারে এসএস রাসেল মামুনের মা জানান, তাদের প্রতিবেশীর গুটিকয়েক ব্যক্তির সাথে মিথ্যা মামলা থাকায় তারা এধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে। কেননা ইতিমধ্যে তারা চেয়ারম্যানের পরিবারকে গ্রাম থেকে উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিল।
বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি ভুক্তভোগী পরিবার জোর দাবি জানান। নইলে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন। এ ঘটনায় এসএম রাসেল বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তিনি আমাদের জানান।