নিকলীতে দুঃসহ লোডশেডিং

সংবাদদাতা ।।
নিকলীতে চলছে দুঃসহ লোডশেডিং। শীতকালে দিনে একাধিকবার লোডশেডিং থাকলেও সহ্য করা যায়। কিন্তু রাত হলে আর সওয়া যায় না। প্রতিদিন এখন সন্ধ্যা হলেই শুরু হয় দীর্ঘ লোডশেডিং-এর পালা। প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা একাধারে চলে লোডশেডিং। এতে উপজেলাব্যাপী কাজের স্থবিরতা বিরাজ করে। ব্যবসা-বাণিজ্য বিভিন্ন কাজের বিঘ্ন ঘটলেও সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। রাতের যে সময় তাদের পড়ালেখা করার উপযুক্ত সময় সে সময় তারা মোমবাতির ক্ষীণ আলো জ্বালিয়ে কোনো রকমে টেবিলে বসে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। প্রতিদিন রাতের লোডশেডিংয়ের কবলে চলতি বোরো ফসলের সেচ কার্যক্রমেরও বিঘ্ন ঘটছে। এতে করে হাওরে একফসলী ধান উৎপাদনে কৃষক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। লোডশেডিং-এর কারণ সম্পর্কে বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানায়, বর্তমানে পল্লী বিদ্যুৎ কটিয়াদী জোনে চাহিদা রয়েছে ২৫ মেঘাওয়াটের। কিন্তু ১৮ মেগাওয়াটের বেশি সরবরাহ করা হচ্ছে। ৩৩ কেবি লাইনের কাজ সম্পন্ন হলে এ সমস্যা থাকবে না।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!