আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
১০ বছরের এক শিশুকে দোকানঘরের ধরনার সঙ্গে উল্টো করে ঝুলিয়ে পায়ুপথে গরম ডিম দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে করিমগঞ্জের গুনধর ইউনিয়নের গুনধর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শিশুটির মুখে একের পর এক গরম আলু ঢুকিয়ে গামছা দিয়ে নাক-মুখ বেঁধে বেদম পেটানো হয়। গুনধর বাজারের মানিক হোসেন নামের এক দোকানি তাকে এই বর্বর নির্যাতন করেছে বলে জানা যায়। বুধবার রাতে ঘটনাটি জানাজানি হয়। নির্যাতনকারী মানিক একই গ্রামের খাঁ হাটির প্রয়াত আবদুল আওয়ালের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, বাবার সঙ্গে শিশুটির মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় আট বছর আগে। এরপর থেকেই শিশুটির মা তার আরও দুই সন্তানকে নিয়ে বৃদ্ধ মায়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। শিশুটি তার নানির বাড়ি থেকে ওই দোকানির ফরমায়েশ খাটত। বিনিময়ে মাঝেমধ্যে খাবার পেত। গত সোমবার রাতে শিশুটিকে পচা ভাত খেতে দেওয়া হয়। দুর্গন্ধযুক্ত ভাত না খেয়ে ফেলে দেওয়ায় মানিক হোসেন শিশুটির ওপর অমানুষিক এই নির্যাতন চালায়।
নির্যাতনের একপর্যায়ে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে মাথায় পানি ঢেলে কিছুটা সুস্থ করে বলে দেওয়া হয়- এই ঘটনা কাউকে জানানো হলে মেরে বস্তায় ভরে তাকে নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। এতে এ ঘটনা ভয়ে কাউকে জানায়নি শিশুটি। বুধবার বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানায় সে। লোমহর্ষক এই ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় এখন তোলপাড় চলছে।
এ বিষয়ে নির্যাতনকারী মানিক হোসেন বলেন, শিশুটি দোকানের টাকা চুরি করেছিল, এ জন্য কয়েক ছেলে তাকে এই শাস্তি দিয়েছে। আমি শুধু তাকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় লিখবেন না। শিশুটির পরিবারকে ওষুধপত্র কিনে দেব।
সূত্র : সমকাল