নিকলী থানাধীন শহরমূল মিঞাপাড়া জামে মসজিদের সার্বিক পরিচালনা তথা- মসজিদের উন্নয়ন, ঈমাম, মোয়াজ্জিনের বেতন ও সার্বিক কাজ। মসজিদ পরিচালনার জন্য মতি মিয়ার দাদা প্রায় ২০ একর জমি ওয়াক্ফ করে যান। তার অবর্তমানে পর্যায়ক্রমে এসে মোতাওয়াল্লির দায়িত্বভার পড়ে মতি মিয়ার হাতে। সেই সময় থেকেই মসজিদের নামে ওয়াক্ফকৃত জমি তার হাত দিয়ে ও তার ভাই মবু মিয়ার হাত দিয়ে বেহাত হয়। মতি মিয়ার মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই মবিন মিয়ার (মবু মিয়া) হাতে মোতাওয়াল্লির দায়িত্বভার অর্পন হওয়ার পর এভাবেই বেহিসাবি হয়ে যায় ওয়াক্ফ এস্টেটের জমি। যেখানে ওয়াক্ফকৃত জমি পরিচালনার দায়িত্বই শুধু ছিল তাদের। কিন্তু তারা মসজিদের উন্নয়নের জন্য তা পরিচালনা না করে করেছেন নিজেদের উন্নয়নের জন্য।
তারা সকলে মিলে ওয়াক্ফকৃত সম্পত্তি কতটুকু বিক্রি ও বন্ধক রেখেছেন তার হিসাব নেই।
মিয়াপাড়ার মসজিদে দানকৃত ওয়াকফ সম্পত্তি আত্মসাৎ করার এক লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিবরণে প্রকাশ, সহরমূল গ্রামের আবু তাহের মিয়া ১৯৩৩ সালে মিয়াপাড়া মসজিদের উন্নয়মূলক কাজের জন্য প্রায় ২৩ একর জমি ওয়াকফ মূলে দান করেন। যা ১৯৩৭ সালে ওয়াকফ এস্টেটের তালিকাভুক্ত হয়। ক্রমিক নং-০১, ইসি নং-৩১৮৩। ১৯৬২ সালে এস,এ রেকর্ডের সময় মসজিদের মোতাওয়ালী সুকৌশলে ওয়াকফ সম্পত্তির প্রায় ১২ একর জমি আত্মীয়স্বজনের নামে আত্মসাৎ করেন। অবশিষ্ট ১১ একর জমি পুনরায় বি,আর,এস রেকর্ড করে পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে অন্যত্র বিক্রি করেন।
মিয়াপাড়া মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য সহরমূল গ্রামের নুরুল আলম কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর ২ নভেম্বর ২০১৪ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিশোরগঞ্জ জেলার ওয়াকফ পরিদর্শক জুবায়েরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যারা (মবিন মিয়া গং) মসজিদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে তারা নিজ উদ্যোগে ওয়াকফ জমি মসজিদের নামে রেকর্ড করে দিবেন। তিনি আরো জানান, ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধার করার দায়িত্ব আমার কাজ নয়।
নিকলী সংবাদদাতা