নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ইয়াছিন (২৫) গত শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। শনিবার ১০ ডিসেম্বর তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বাড়িতে আনা হয়। ইয়াছিন নিকলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্বগ্রাম কোণাবাড়ির আবু ছিদ্দিক ভূইয়ার ছেলে এবং পেশায় একজন বেসরকারি সার্ভেয়ার।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর রোববার আবু ছিদ্দিক ভূইয়া তার ছেলে এয়াকুব (২৭), ইয়াছিন (২৫) ও শেখসাদীকে (২১) নিয়ে উপজেলার নয়নবালি হাওরের নিজ জমিতে কর্মরত অবস্থায় একই গ্রামের আব্দুর রহমান ওরফে তামশা মিয়া তার ছেলে মো. হানিফ ও মো. রফিক মিয়া দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হানিফের কোদালের উপর্যুপরি আঘাতে ইয়াছিন জখম হয়।
ইয়াছিনের বাবা আবু ছিদ্দিক ভূইয়া, ভাই ইয়াকুব ভূইয়া ও শেখসাদী ভূইয়া ইয়াছিনকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাদেরকেও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পাশের জমিতে কর্মরত কৃষকরা তাদের ডাক চিৎকারে এগিয়ে এসে উদ্ধার করে প্রথমে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ইয়াছিন ও ই্য়াকুবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাদেরকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইয়াছিনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানাস্তর করা হয়। ৫ দিন চিকিতসার পর শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিকলী থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মুঈদ চৌধুরী জানান, অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।