ভৈরবে রিকশাচালক খুন-ছিনতাই, ঘাতকের যাবজ্জীবন

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

ভৈরবে ফারুক মিয়া নামে এক রিকশাচালককে খুন করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঘাতক আমিনুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর আসামি খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. শাহজাহান কবীর বৃহস্পতিবার ৩ আগস্ট এই রায় দেন।

রায়ে আসামি আমিনুল ইসলামকে হত্যা ও ছিনতাইয়ের দু’টি পৃথক ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছিনতাইয়ের দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত আমিনুল ইসলাম আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিল। আমিনুল ইসলাম ভৈরবের কমলপুর এলাকার বেতের মিয়া ওরফে বাতেনের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, হুমায়ুন কবীরের ছেলে ফারুক মিয়া ভৈরবের কমলপুর এলাকার রুস্তম আলীর বাসায় ভাড়া থেকে রিকশা চালাতেন। ২০০৮ সনের ২৪ জুন রাত ৮টার সময় আমিনুল ইসলাম ও খলিলুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি ফারুককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বাল্লাবিলের ব্রিজের কাছে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে এবং ফারুক মিয়ার কাছ থেকে একটি মোবাইল সেট ও এক হাজার ৮শ’ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরদিন ২৫ জুন সকালে পার্শ্ববর্তী মাতা মইক্ক্যার বিলে ফারুকের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত রিকশাচালক ফারুকের স্ত্রী পারভীন বাদী হয়ে আমিনুল ইসলাম ও খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় দণ্ডবিধির ৩৯৪/৩০২ ধারায় মামলা করেন। সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মামলাটি পরিচালনা করেন।

সূত্র : ভৈরবে রিকশাচালককে খুন করে ছিনতাই, ঘাতকের যাবজ্জীবন  [কিশোরগঞ্জ নিউজ, ৩ আগস্ট ২০১৭]

Similar Posts

error: Content is protected !!