যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম ‘হিরো’ খেলোয়াড়রা

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

২০১৫ সালের কথা। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে সে দেশের মুসলিম ‘হিরো’ খেলোয়াড় কারা, জানতে চান। যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ‘ডেইলি নিউজ’ ১০ মুসলিম ক্রীড়াবিদের তালিকা প্রকাশ করেছে।

মুহাম্মদ আলী
হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন মুহাম্মদ আলী ১৯৬৪ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০০১ সালে আলীর হাতে ‘ইউনাইটেড সেরিব্রাল পলসি হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দিয়েছিলেন।

করিম আব্দুল-জব্বার
এনবিএ বা ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন-র ইতিহাসে অন্যতম সেরা আইকনিক খেলোয়াড়। তিনি এনবিএ-র ২০ মৌসুম খেলে ছ’বারই ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ নির্বাচিত হন।

মাইক টাইসন
মাত্র ২০ বছর বয়সে হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বে পরিচিতি পান টাইসন। ১৯৯২ সালে ধর্ষণের দায়ে জেলে থাকার সময় তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। টাইসনকে জেল থেকে বের করায় সহায়তা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হাকিম ওলাজুওন
নাইজেরিয়ান-অ্যামেরিকান এই বাস্কেটবল খেলোয়াড় রোজা রেখেও ম্যাচ খেলতেন। বলা হয়, তিনি নাকি রোজার মাসে একটু বেশি ভালো খেলতেন। ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি এনবিএ-র ‘প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ’ নির্বাচিত হয়েছিলেন। অথচ সে বছর রোজা শুরু হয়েছিল ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে!

শাকিল ও’নিল
খ্রিষ্টান মা ও মুসলিম সৎ বাবার সন্তান ও’নিল (ডানে) একবার বলেছিলেন, ‘‘আমি মুসলিম, আমি ইহুদি, আমি বৌদ্ধ, আমি সব কিছু, কারণ আমি একজন মানুষ।’’ ডেইলি নিউজ-এর মতে, অন্যতম সেরা এই এনবিএ খেলোয়াড় মক্কায় গিয়েছিলেন হজ পালন করতে।

ব্যার্নার্ড হপকিন্স
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ডাকাতির মামলায় হপকিন্সের (ডানে) ১৮ বছরের জেল হয়েছিল। জেলে থাকার সময় তাঁর বক্সিং ও ইসলাম ধর্মের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। তাই জেল থেকে বেরিয়ে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং বক্সিং শুরু করেন। তিনিই প্রথম বক্সার যিনি চারটি বিশ্ব মিডলওয়েট শিরোপাই জয় করেছেন।

রশিদ ওয়ালেস
২০০৪ সালের এনবিএ চ্যাম্পিয়ন ডেট্রয়েট পিসটনস-এর অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন ওয়ালেস (বল হাতে)। তাঁর স্ত্রীর নাম ফাতিমা।

মাহমুদ আব্দুল-রউফ
ক্রিস জ্যাকসন ১৯৯১ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হয়ে যান মাহমুদ আব্দুল-রউফ। ১৯৯৩ সালে তিনি এনবিএ-র ‘মোস্ট ইমপ্রুভড প্লেয়ার’ খেতাব পেয়েছিলেন। তিনি এনবিএ-র নয়টি মৌসুমে খেলেছেন।

শরিফ আব্দুর-রহিম
মা আমিনা ও বাবা উইলিয়াম আব্দুর-রহিমের ১২ সন্তানের একজন শরিফ। ২০০০ সালের অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল দলের সদস্য ছিলেন তিনি।

মুহাম্মদ উইলকারসন
২৬ বছর বয়সি এই অ্যামেরিকান ফুটবল খেলোয়াড়ের মা হিজাব পরেন। ২০১১ সালে এক এগারোর দশ বছর পূর্তিতে তিনি বলেন, ‘‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। মুসলিম হওয়া মানে আল্লাহর শিক্ষা গ্রহণ করা, যিনি বলেছেন, তোমরা কখনও কারও ক্ষতি করো না, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের।’’

সূত্র : যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম ‘হিরো’ খেলোয়াড়রা  [ডয়চে ভেলে, ৮ ডিসেম্বর ২০১৫]

Similar Posts

error: Content is protected !!