চলন্ত ট্রেনে ঢিল : অবশেষে মারা গেলেন রেল কর্মকর্তা

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

বায়েজিদ শিকদার গত ৩০ এপ্রিল আহত হওয়ার পর তাকে খুলনা থেকে ঢাকায় এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪১ দিন পর সোমবার তার মৃত্যু ঘটে। বায়েজিদের বাড়ি বাগেরহাটে। তিনি এক সন্তানের জনক।

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, গত ৩০ এপ্রিল খুলনা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল কমিউটার ট্রেনে দায়িত্ব পালন করছিলেন বায়েজিদ। বেনাপোল থেকে খুলনা যাওয়ার পথে দৌলতপুর স্টেশন এলাকায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। তাতে আহত হন তিনি।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই দিনই ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয়েছিল বায়েজিদকে। পরে সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখানেই সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় তার মৃত্যু ঘটে।

বায়েজিদের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, “তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা মনে করি এটা সন্ত্রাসী কার্যক্রম। হত্যার উদ্দেশ্যেই বড় পাথর ছোড়া হয়েছিল।”

একটা সংঘবদ্ধ চক্র ওই এলাকায় প্রায়ই ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে বলে জানান তিনি। “পাথর ছুড়ে দেয়, এতে লোকজন মারা যায়। এটা কোনো তামাশা না। আমরা ধরে নেই, এটা হত্যার উদ্দেশ্যে মারা হয়েছে।” এই ঘটনায় ইতোমধ্যে রেলওয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।

রেলের মহাপরিচালক বলেন, “আমরা চারজনকে আসামি করে মামলা করেছি। এখন বাকি কাজ পুলিশের। শুনেছি এখন পর্যন্ত তারা একজনকে ধরেছে।”

রেলওয়ে জানায়, আহত বায়েজিদের চিকিৎসার জন্য রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক প্রথমে এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সোমবার তার পরিবারকে আরও এক লাখ টাকা সহায়তা দেন তিনি।

সূত্র : চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে প্রাণ গেল রেল কর্মকর্তার  [বিডি নিউজ, ১২ জুন ২০১৮]

Similar Posts

error: Content is protected !!