মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখে অন্য কোটা বাদের পক্ষে সরকারি কমিটি

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার, বাতিল ও পর্যালোচনায় গঠিত সরকারি কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ হলো— কোটা প্রায় পুরোটাই উঠিয়ে দেয়া। এর পাশাপাশি মেধাকে প্রাধান্য দেয়ারও সুপারিশ এসেছে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজ সোমবার (১৩ আগস্ট ২০১৮) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও ওই কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল আলম।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ হলো কোটা অলমোস্ট (প্রায় পুরোটাই) উঠিয়ে দেয়া, মেধাকে প্রাধান্য দেয়া। তবে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় আছে যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রতিপালন করতে হবে। সংরক্ষণ করতে হবে। যদি পদ খালি থাকে, তবে তা খালি রাখতে হবে।’

মোহাম্মদ শফিউল আলম আরও বলেন, ‘সরকার আদালতের কাছে মতামত চাইবে। যদি আদালত বাতিল করে দেন, তবে কোটা থাকবে না। আর যদি আদালত বলেন, ওই অংশটুকু (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) সংরক্ষণ করতে হবে, তাহলে ওই অংশ বাদে বাকি সবটুকু উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এটা হলো প্রাথমিক তথ্য।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তারা (কমিটি) নিজেরাও ওই রায় বিশ্লেষণ করেছিল। তবে পুরোপুরি বুঝতে পারছে না। এ জন্য আদালতের মতামত চাওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমাদের সময় এসেছে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় যাওয়া।’

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সামনে আসবে কীভাবে— এমন প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, তারাও (পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী) অনেক অগ্রসর হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। প্রথমে কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় দেয়া হয়েছিল। পরে সময় বাড়িয়ে আরও ৯০ কর্মদিবস দেয়া হয়।

সূত্র : প্রথম আলো, ১৩ আগস্ট ২০১৮

Similar Posts

error: Content is protected !!