আজ গুরুই গণহত্যা দিবস

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

আজ ৬ই সেপ্টেম্বর। কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার গুরুই গণহত্যা দিবস। ৭১’র এই দিনে পাকবাহিনী ও এর দুসরদের হাতে কমপক্ষে ৩০ জন নিরীহ গ্রামবাসী শহীদ হন।

জানা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন ভারতীয় প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামের কতিপয় যুবকদের নিয়ে আ. মোতালেব বসু গড়ে তোলেন বসুবাহিনী। গুটিকয়েক দেশি বন্দুক আর সাহস ভরসা করে মুক্তিকামী এই বাহিনীটি মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করে প্রশিক্ষিত করেন শতাধিক যোদ্ধাকে।

ছোট ছোট যুদ্ধ জয়ে সংগৃহীত গোলাবারুদ নিয়ে একে একে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেন। নিজ এলাকাসহ আশেপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা শত্রুমুক্ত রাখেন তারা। তৎকালীন নিকলী সদরে অবস্থানরত পাকবাহিনী বসুবাহিনীর কারণে সর্বদাই সন্ত্রস্ত থাকতো। এর জেরে বসু বাহিনীকে প্রতিহত করতে ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ পাক মেজর দুররাণি, আসলাম ও ফিরোজের নেতৃত্বে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় অতর্কিত গুরুই গ্রামের পূর্ব পাড়ায় আক্রমণ চালায়। তাদের আক্রমণে কমপক্ষে ৩০ জন নিরীহ গ্রামবাসী শহীদ হন।

আক্রমণ প্রতিহত করতে গেরিলা কৌশল অবলম্বন করেন বসু বাহিনী। কয়েকজন ব্যস্ত রাখেন আক্রমণকারীদের। বসু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড শামসুল হক বিভিন্ন অবস্থান থেকে গেরিলা কায়দায় একাই ৫ পাক সদস্য ও ১০ রাজাকারকে নির্ভেদ্য গুলিতে নিধন করেন। ২ রাজাকারকে অস্ত্রসহ জীবিত আটক করেন।

শামছুল হক জানান, দিনটি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে রয়েছে। কিন্তু সরকারি বেসরকারি কোন উদ্যোগে দিনটি উদযাপিত না হওয়ায় ইতিহাসের পাতা থেকে আজ মুছে যেতে বসেছে।

Similar Posts

error: Content is protected !!