হাওরের পানি শুকিয়ে গেছে, কর্মব্যস্ত কৃষক

আবদুল্লাহ আল মহসিন ।।
নিকলীর হাওর জলাশয়ের পানি শুকিয়ে গেছে। আবারও কর্মব্যস্ততা এসে গেছে কৃষকের ঘরে।
উপজেলার বড় হাওর জোয়ানশাহী হাওর ছয় মাস পানিতে টইটুম্বুর ছিল। এখন পানি শুকিয়ে গেছে আর জমিতে পড়েছে পলি। পলি জমিতে এখন ফসল বোনার পালা। উপজেলার নিকলী, কুর্শা, পাচরুখী, পুড্ডা, সাজনপুর, ছেত্রা, গুরুই, পূর্বগ্রাম, মোহরকোনা, দামপাড়া, আলিয়াপাড়া, টেঙ্গুরিয়া, সিংপুর, বরাটিয়া, মজলিশপুর, জালালপুর, কারপাশা, নানশ্রী, ছাতিরচর, ঘোড়াদিঘা ঘুরে দেখা গেছে কৃষক তাদের জমির আইল বাধছে। কেউবা ধানের বীজতলা তৈরি করছে। কেউ সেচ কাজে ব্যস্ত। কেউবা ভালো বীজ সংগ্রহের সন্ধানে রয়েছেন।

shech
এখানকার হাওর একফসলী জমি। প্রধান ফসল ধান। এ ছাড়া বাদাম ভুট্টা, আলুও চাষ হয়। পেঁয়াজ, রশুন, মরিচ, ধনিয়া, সরিষা, ক্ষিড়াও প্রচুর পরিমাণে চাষ হয়। একফসলী চাষ সুষ্ঠুভাবে ঘরে তোলার জন্য অনেক বাতানঘর তুলছে হাওরে।
নিকলী ছাড়াও কিশোরগন্জ, কটিয়াদী, পাকুন্দিয়া, বাজিতপুর, করিমগন্জ, কুলিয়ারচর, ভৈরব থেকে কৃষক বাতানঘর তৈরি করার উদ্দেশ্য হাওরে ছুটছে। কিশোরগন্জের কালিয়ারকান্দা গ্রামের কৃষক ফরিদ (৫০) জানান, পানি কমে গেলেই জোয়ানশাহী হাওরে বাতান তৈরি করি। আমাদের পূর্বপুরুষরা এই হাওরে কৃষি জমি করে আসছেন। আমরাও করি।

shech2

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!