নিকলীতে জলমহালের চুক্তি বাতিল : দখল ছাড়ছে না ইজারাদার!

বিশেষ প্রতিনিধি ।।

ইজারা মূল্য প্রায় কোটি টাকা পরিশোধ না করায় চুক্তি বাতিল ও জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে সরকার। তবুও কিশোরগঞ্জের নিকলী বরুলিয়া (নয়নবালি) জলমহালটির দখল ছাড়ছে না এক আওয়ামীলীগ নেতা।

সরকারের ৬ বছরমেয়াদী অভয়াশ্রম প্রকল্পাধীন নিকলী বরুলিয়া (নয়নবালি) জলমহাল। ১৪২৫ বাংলা সনে সাকুল্য মূল্য ৭২ লক্ষ ১ হাজার ২শ’ টাকা চুক্তিতে চলতি সালের ১লা বৈশাখ থেকে দখল গ্রহণ করে নিকলী নতুন বাজার নামের একটি মৎসজীবি সমবায় সমিতি। মেয়াদকাল ৩১শে চৈত্র ১৪৩০।

সরকারি কোষাগারে শুধুমাত্র জামানতের টাকা জমা পড়লেও সমিতিটির সভাপতি নিকলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাহের আলী গং সরকারি কোষাগারে ইজারার চুক্তিমূল্য পরিশোধ করেননি। সরকারের পক্ষ থেকে বার বার তাগিদ দেয়া হয়। সরকারি তাগিদে কর্ণপাত না করে ওই আওয়ামীলীগ নেতা জলমহালটি ভোগদখল করে আসছেন।

জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯-এর ৭(৭) নং অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করায় কিশোরগঞ্জ রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো. নাজির হোসেন স্বাক্ষরিত ৩রা কার্তিক ১৪২৫ তারিখে ৩১.১২.৪৮০০.০০৭.৩৪.০৯৬.১২-২১০৩ নং স্মারকে ইজারা বাতিল ঘোষণা করেন। জামানত বাবদ জমাকৃত বিডি সরকার অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, যথারীতি জলমহালটি ইজারাদারের দখলে রেখে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ আহরণ অব্যাহত রেখেছেন। সরকারি চুক্তি বাতিলে দখল গুটানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি ইজারাদার পক্ষ। উপরন্তু রক্ষণাবেক্ষণে একদল প্রহরী জলমহালটি পাহাড়ারত এবং দখলদারিত্ব বজায়ে তৎপর দেখতে পাওয়া যায়।

প্রহরী মোহরকোণা গ্রামের আশরাফ উদ্দিন জানান, জলমহালের ইজারাদার মো. তাহের আলীর নির্দেশক্রমে আমরা জলমহাল দখলে রেখেছি। ইজারাদারের অনুমতি যাদের আছে তাদেরকেই মাছ ধরতে দিচ্ছি।

Similar Posts

error: Content is protected !!