ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি ।।
নওগাঁর ধামইরহাটে থানা পুলিশ কর্তৃক ধানকাটা মামলার আসামিকে আটক করায় বাদির আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। ২০ ডিসেম্বর দুপুরে চলতি মাসের ১২ ডিসেম্বরের ধামইরহাট থানার মামলা নং-০৬ এর তালিকাভুক্ত আসামি মফিজুল ইসলামকে ধরতে যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জহুরুল ইসলাম।
আসামিকে দেখে থানা পুলিশ পীরপালের সম্পত্তির মোতওয়াল্লী ক্বারী আব্দুল জলিলের বাড়ির সামনে খোলা মাঠ হতে মফিজুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় অপর আসামি মাসুর ওরফে বিশু ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোটাসহ তার লোকজন নিয়ে মোতওয়াল্লী জলিল ক্বারীর বাড়িতে হামলা চালায়।
এতে মাসুদ ওরফে বিশুগং ক্বারী আব্দুল জলিলের স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে বেধড়ক মারপিট করে ও সন্ত্রাসী কায়দায় সুফিয়া খাতুনের ভাই মো. আলীকে গাছে বেঁধে রেখে মারপিট করে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
খবর পেয়ে ধামইরহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং বাড়িতে তালাবদ্ধ থেকে মুক্ত করে জখমীদের উদ্ধার ও হাসপাতালে পাঠায়। এরপর হামলাকারী অপর আসামি মাসুদ ওরফে বিশুকে আটক করে এস আই জহুরুল ইসলাম। হামলার বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জখমী সুফিয়া খাতুনের জামাতা মিজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
থানায় আটক মামলার আসামি মফিজুল ইসলাম ও মাসুদ ওরফে বিশু বলেন, আমরা ডাক্তার মাজেদুর রহমানের নির্দেশে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে ডাক্তারসহ আমরা ২৭ জন মামলার আসামি হই। আজকের ঘটনায় সামান্য ঝগড়া হয়েছে বলে কৌশলে মারামারির বিষয়টি আসামিদ্বয় এড়িয়ে যান। তবে মামলার প্রধান আসামি ডা. মাজেদুর রহমানকে (০১৭১০-৯৬৭৭৯৮) ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি নওগাঁ আছি। কিছুই বলতে পারব না।
উল্লেখ্য ১০ ডিসেম্বর পীরপালের জমিতে ডা. মাজেদুর রহমান গং কর্তৃক অবৈধভাবে ধানকাটার ঘটনায় ডা. মাজেদুরকে ১নং আসামি করে ২ জনের নামে মামলা করেন মোতওয়াল্লীর পক্ষে বর্গাদার ওমর আলী।


