“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব পদক্ষেপ নিতে পারবে সশস্ত্র বাহিনী”

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে।

রাজধানীর রেসিডেন্সিডিয়াল মডেল কলেজে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর ২০১৮) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মকভোটিং উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো সশস্ত্র বাহিনীতে জুডিশিয়াল পাওয়ারসহ ভোটের দায়িত্ব দেয়ার দাবি জানানো হচ্ছিল। এ দাবির মধ্যে এই বাহিনীকে ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ২৭ থেকে ৩২ ধারা অনুযায়ী আজ থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়োজিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি টিম কাজ করবে।

তবে ম্যাজিস্ট্রেট সাথে না থাকলে কিংবা ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সশস্ত্র বাহিনী সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে।

সিইসি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, সহিংসতা পরিহার করে নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন। সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে। তাদের মোতায়েনের ফলে ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা ফিরে আসবে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকছে সশস্ত্র বাহিনী। ১ লাখ ২০ হাজারের মতো ফোর্স থাকছে এ বাহিনীর। উপজেলা থেকে নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে তারা। দশম সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ৮০ হাজার সদস্য ১৫ দিনের জন্য ভোটের আগে-পরে নিয়োজিত ছিল।

এবার ভোটের মাঠে বিভিন্ন বাহিনীর ৮ লাখ ফোর্স এবং ৪ হাজারের বেশি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র : পরিবর্তন, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

Similar Posts

error: Content is protected !!