খাইরুল মোমেন স্বপন, বিশেষ প্রতিনিধি ।।
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে মুখোমুখি আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে চাচাত ভাই খোকন মিয়াকে (৪২) খুনের প্রধান আসামি আবু তাহেরকে (৬৫) শনিবার (১৫ জুন ২০১৯) ভোরে গ্রেফতার করেছে নিকলী থানা পুলিশ। জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ইন্দাছুল্লি গ্রামে তিনি পলাতক ছিলেন।
জানা যায়, গত ২৬ মে নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের ভাটি বরাটিয়া মাঠে নিহত খোকনের পুত্রদ্বয় আপন (১৪) ও জীবন (১৬) ফুটবল খেলা দেখতে যায়। পাশের মুন্সিপাড়া গ্রামের ফুয়াদ মিয়ার পুত্র দিদারের (১৬) সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যায়। দিদার বাড়িতে খবর দিলে তার লোকজন আপন ও জীবনকে বলপূর্বক মুন্সিপাড়া গ্রামে নিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে খোকন মিয়া চাচাত ভাই আফজালসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পুত্রদ্বয়কে ছাড়িয়ে আনতে যায়। পূর্বশত্রুতার জেরে আবু তাহেরের পুত্র জসিম (৩২) মুখোমুখি অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ছুড়ে। খোকন মিয়া ও আফজাল গুলিবিদ্ধ হন। কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে খোকন মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত খোকনের বড় ভাই রতন মিয়া বাদি হয়ে আবু তাহেরকে প্রধান ও ২১ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন উল্লেখ করে নিকলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন আবু তাহেরের পুত্রবধূ সেলিনা (৩০), রুৎফুন্নেছা (৩৫), রোজিনা (৩০), আঞ্জুমান নাহার (৩০), শরমিন (২৩), ইয়াছিন মিয়া (২২), মোশারব (৩২) ও লিটন মিয়া (৪৫) নামে ৮ ব্যক্তিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
নিকলী থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন ভূইয়া গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবু তাহের ঘটনার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করে একই দিন আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।