স্বাস্থ্যঝুঁকিতে অবহেলিত বিনা বেতনের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তারা

আবু মুছা স্বপন, ধামইরহাট (নওগাঁ) ।।

সারাদেশের মত নওগাঁর ৯৯ ইউনিয়নের অবহেলিত বিনা বেতনের উদ্যোক্তারা প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস ঝুঁকিতে দায়িত্ব পালন করছেন। তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামের বাতিঘর খ্যাত ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার করোনা আতংকের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারের তৃণমূলের প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা সরকারি ত্রাণ কার্যক্রমের তালিকা প্রস্তুতসহ ইউপির নানাবিধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় তৃণমূল পর্যায়ে ত্রাণ সামগ্রী সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা।

আড়ানগর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে জুবায়ের হোসেনের ভাষ্য মতে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় গণপরিবহন ও ছোট ছোট যানবাহন চলাচল সীমিত হওয়ায় অনেক ইউপি সচিবরাই ইউপিতে সময় দিতে পারছেন না। পক্ষান্তরে উদ্যোক্তারা নিজেদের জীবনের ঝূঁকি নিয়ে ইউডিসিতে বসে কম্পিউটারে দিনরাত পরিশ্রম করে ত্রাণের তালিকা করে যাচ্ছেন দীর্ঘ ১০ বছর বিনাবেতনে কাজ করে আসা ইউডিসি উদ্যোক্তারা। দীর্ঘ ১০ বছর যাবত ইউনিয়ন পরিষদে বিনা বেতনে পরিষদের সকল দাপ্তরিক কার্যক্রমসহ রাষ্ট্রের এই দুঃসময়ে ইউডিসি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলেও উদ্যোক্তারা সারাদিন ত্রানের তালিকা করলেও উদ্যোক্তাদের ব্যাপারে কারোই নজর নেই। ফলে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপণ করছেন অনেক ইউডিসির উদ্যোক্তারা।

তারা মাঠে ঘাটে কাজ করার সময় তাদের করোনাভাইরাস থেকে নিজেদের প্রতিরোধ করতে স্বাস্থ্য সুরার যেসব সামগ্রী রয়েছে তার কিছুই নাই। তাদের সুরার জন্য এসব সামগ্রী প্রদান করা এবং ঝুকি নিয়ে যারা কাজ করবেন তাদের পুরস্কৃত করাসহ স্বাস্থ্যবীমা প্রদান ও প্রণোদনা দেওয়া হলে তাদের সেবামূলক কাজের আরো গতিশীল হবে। সারাদেশে ৪৫০০ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও নওগাঁ জেলার ৯৯টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে। আড়ানগর ইউডিসির উদ্যোক্তা মোঃ যোবায়ের হোসেন বলেন, আমরা যেহেতু মাঠ ঘাটে কাজ করছি সেই জন্য সামগ্রী প্রদান করা এবং ঝুকি নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের পুরস্কৃত করাসহ স্বাস্থ্য বীমা প্রদান ও প্রণোদনা দেওয়া হলে তাদের আমাদের কাজের আরো গতিশীল হবে।’

আড়ানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী কমল বলেন, ‘ইউপি সচিবদের অনেক কাজ উদ্যোক্তাগণ করে দিয়ে সহযোগিতা করে, বর্তমানে বিভিন্ন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে সরকারী ত্রাণ বিতরণের তালিকা উদ্যোক্তারাই করে থাকে, তারাও সরকারী সুবিধা পেলে তাদের জীবন মান উন্নয়ন হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন গনপতি রায়, অচিরেই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে, তবে প্রনোদনা বা বীমাসহ অন্যান্য সুবিধা সেগুলো সরকারী সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে।

Similar Posts

error: Content is protected !!