নিকলীতে শত শত ঘরবাড়ি বন্যায় প্লাবিত

আবদুল্লাহ আল মহসিন, বিশেষ প্রতিনিধি ।।

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শত শত ঘরবাড়ি বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে। অব্যাহত বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ধনু ও ঘোড়াউত্রা নদীসহ হাওরের পানি অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের অর্ধেক গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় চার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

বন্যা কবলিত ভাটিবরাটিয়ার কিছু অংশ

সিংপুরের ভাটিবরাটিয়া থেকে খাইরুল ইসলাম জানান, সপ্তাহখানেক আগে থেকেই পানিতে এলাকার নিচু ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে পানিতে। রাস্তার পাশের দোকানপাটও তলিয়ে গেছে। হাওরের বুকে নবনির্মিত কাশিপুরের আতাউর রহমান বলেন, খুবই ভয়াবহ অবস্থার মাঝে আছি। পানি আরেকটু বাড়লেই গ্রামটি তলিয়ে যাবে। তুলনামূলক নীচু জায়গায় হওয়ায় গ্রামের মসজিদটি আরো আগেই ডুবে গেছে। তিনি আরো বলেন, এখানে যারা আছে তারা অধিকাংশ দরিদ্র কৃষক। বন্যার পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে এলাকায় গবাধি পশুসহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিবে। সিংপুরের বড়হাটি নতুন বাজারটি তলিয়ে গেছে। নদীর পাশের বাঁধটি ভেঙ্গে ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় এখানকার নিচু এলাকার ঘরবাড়ি। অনেক মাছের পুকুর ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন মাছচাষীরা।

সিংপুর

উপজেলার গুরুই ইউনিয়নেও কিছু ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। অসহায় হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষেরা সরকারি সহায়তা চায়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ভূঁইয়া (জনি) বলেন, নিকলীর বন্যাকবলিত কিছু এলাকায় গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করে এসেছি। সেখানকার অবস্থার খোঁজখবর রাখছি। ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

কবলিত এলাকায় উপজেলা পরিষদের ত্রাণ বিতরণ

এদিকে, সদর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, ষাইটধার, জাফরাবাদ, সোয়াইজনী নদীর অপর পাড়ে গড়ে ওঠা অফিসপাড়ার কিছু ঘরবাড়িও প্লাবিত হওয়ার খবর জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পানিবৃদ্ধির এই হার চলমান থাকলে প্রতিদিনই আরো নতুন নতুন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়ে যাবে।

Similar Posts

error: Content is protected !!