বিদ্যুৎবিহীন নিকলীর ১৬ কমিউনিটি ক্লিনিক

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। এতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। বেশি সমস্যা হচ্ছে মা ও শিশুদের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে চিকিৎসাসেবা দিতে সরকার ২০১১ সালে ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে। সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী এসব ক্লিনিকে এসে সেবা নেয়। কিন্ত বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকায় ক্লিনিকগুলোতে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি) ঠিকমতো চিকিৎসা দিতে পারছেন না।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুব আলম সম্প্রতি গতকাল রোববার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, দ্রুত বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার জন্য ক্লিনিকগুলোর একটি তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
সম্প্রতি নিকলী সদর ইউনিয়নের মঞ্জিল হাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে সিএইচপিসি মহুয়া আক্তার জানান, বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকায় বৃষ্টির সময় ক্লিনিকের কক্ষ অন্ধকার হয়ে যায়। এতে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে বিঘ্ন ঘটে।
এ ছাড়া গরমের সময় সেবা নিতে আসা রোগীদের কষ্ট হয়। মঞ্জিল হাটি গ্রামের জলিল মিয়া বলেন, ওই ক্লিনিকের মাত্র ৫০ ফুট দূরেই পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। অথচ ক্লিনিকে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই।
উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের কামালপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা রহিমা বেগম বলেন, সম্প্রতি এক আত্মীয়কে নিয়ে তিনি ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। ওই দিন ছিল মেঘলা আকাশ। ক্লিনিকে বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারেই তাঁদের চিকিৎসা করাতে হয়।
উপজেলা পূর্বগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচপিসি শিমুল খান জানান, তিনি ওই ক্লিনিকে ডায়রিয়া, আমাশয়, ঠান্ডা, কাশি, সর্দি, জ্বর, পেটব্যাথা, মাথব্যাথা, ডায়াবেটিসসহ ৩০ ধরনের রোগের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় আকাশ মেঘলা হলে ক্লিনিকের কক্ষ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ কারণে রোগীদের সেবা দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্ষেত্রে এবং অনলাইনে প্রতিবেদন পাঠাতে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আশাদ উল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ক্লিনিকগুলোতে বিদ্যুতের সংযোগ পেতে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে এক বছর আগেই লিখিত আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুতের কটিয়াদী জোনের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এ কে এম বদর উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আবেদনগুলোর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ক্লিনিকগুলোতে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সূত্র : প্রথম আলো, ৪ এপ্রিল ২০১৬

Similar Posts

error: Content is protected !!