অঞ্চলভেদে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বিভাজন সময়ের দাবি

কবির হোসেন ।।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত দুর্গম হাওরাঞ্চল বলে খ্যাত বেশ কয়েকটি জেলা রয়েছে। প্রচলিত একটি প্রবাদ আছে- “শুকনায় পাও, বর্ষায় নাও, এই হলো ভাটিঁ অঞ্চলের ভাউ।” এর মধ্যে ময়মনসিংহ অঞ্চলের, নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী, মদন, মোহনগঞ্জ, কেন্দুয়া, আটপাড়া, কলমাকান্দা উপজেলাগুলো রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বছরে অর্ধেক সময় থাকে পানিতে নিমগ্ন। বছরে ছয় মাস পানি থাকে বিধায় এতদঞ্চলের মানুষের একটিমাত্র ফসল। আর ফসল উত্তোলন শুরু হয় চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত। কৃষক, শিশু-বৃব্ধ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই মিলে জান প্রান দিয়ে এ সময় শুরু করেন ফসল উত্তোলনের কাজ। উত্তরের পাহাড়ের কাছাকাছি অবস্থানগত কারণে প্রতিবছরই আগাম বন্যায় ফসলহানি ঘটে। তাই ফসল উত্তোলনের কাজটি করতে হয় অত্যন্ত দ্রুততার সাথে।

khaliajuri-school

এ সময় একজন মানুষ মৃত্যুবরণ করলে সহসা জানাযা দেয়ার জন্য মানুষ পর্যন্ত পাওয়া যায় না। এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগুলো থাকে অঘোষিত ছুটি। শত চেষ্টা করেও প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার বৃব্ধি করা যায় না। চলতি বছর গ্রীষ্মকালীন ছুটি ১৪ মে শনিবার থেকে ২৬ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ১২ দিন। উক্ত ছুটি শিক্ষার্থীদের কোনো কাজেই আসবে না। তবে সময়টা থাকবে পড়ালেখার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে বন্ধ। তার মানে হলো গ্রীষ্মকালীন ছুটি হচ্ছে দ্বিগুণ। তাতে করে শিক্ষার্থীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি। তাই অত্র বিশেষ অঞ্চলের কথা চিন্তা করে গ্রীষ্মকালীন ছুটি যুগোপযোগী করা সময়ের দাবি।

Similar Posts

error: Content is protected !!