আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়ে এবং ২১ বছরের কম বয়সী ছেলেদের বিয়ে না দেয়ার বিধান শিথিল করা হয়নি।
বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনের বিশেষ বিধান নিয়ে যেসব আলাপ-আলোচনা হচ্ছে তা নিরর্থক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন তৈরি করা হয়েছে সেটায় পরিষ্কারভাবে বলা রয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো মেয়েকে এবং ২১ বছরের কম বয়সী কোনো ছেলেকে বিয়ে দেয়া যাবে না বা তারা বিয়ে করতে পারবে না। এটা হচ্ছে এ আইনের মূল বিষয়। বাসস
তবে জরুরি অবস্থায় যদি বিয়ের প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে অভিভাবকদের সম্মতি ও আদালতের অনুমতিক্রমে বিয়ে হতে পারে। তার মানে এই নয় যে, ১৮ বছর ও ২১ বছরের বিয়ের বিধান শিথিল করা হয়েছে।’
আইনমন্ত্রী মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের জুডিসিয়াল কর্মকর্তাদের ১৩৫তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের অন্যতম অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের পবিত্রতা, মর্যাদা ও স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বদ্ধপরিকর। তাঁর সদিচ্ছায় বিচার বিভাগের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগে ডিজিটাইজেশনের কাজ চলছে। একটি দক্ষ জুডিসিয়ারি গড়ে তোলার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে অধস্তন আদালতের ৫৪০ জন বিচারককে উন্নত প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে। গত মাসের ২৮ তারিখ এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের অধস্তন আদালতের দেড় হাজার বিচারককে প্রচলিত আইন ও আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতে পাঠানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরকালীন পৃথক দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এমওইউ অনুযায়ী, দেড় হাজার বিচারককে আগামী ৫ বছরে ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেবে ভারতের ভূপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি। এক্ষেত্রে প্রতিবছর ১০টি ব্যাচ এবং প্রতিটি ব্যাচে ৩০ জন করে বিচারক এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। প্রশিক্ষণের সময় হবে দুই সপ্তাহ। মন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণের কার্যসূচিতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন, মানবাধিকার আইন, মেডিকো-লিগ্যাল জুরিসপ্রুডেন্স, পরিবেশ আইন, চুক্তি আইন, আদালত ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ ক্ষেত্রে বিচারকদের এই প্রশিক্ষণ বিচার বিভাগের দক্ষতা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকও বক্তব্য রাখেন।