নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার ইন্দিরা রোডের একটি বাসায় মুক্তা (১৮) নামে এক গৃহপরিচারিকার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার (২৭ মে ২০১৭) রাতে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ পান্থপথের একটি হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পুলিশ বলেছে, একটি কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মুক্তার উদ্ধার করা হয়েছে।
শেরেবাংলানগর থানার এসআই মোহাম্মদ মামুন জানান, ইন্দিরা রোডের ৪৭/৬ নম্বর ‘ত্রয়ী নীড়’ ভবনের বি-১ ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে ঢুকে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দেয় মেয়েটি। দরজা নক করার পরও তার সাড়াশব্দ না পেয়ে বাসার লোকজন মিস্ত্রি ডেকে দরজা ভেঙে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে। পরে দ্রুত পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে নিহতের মামা হান্নান জানান, মুক্তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার দামপাড়ায়। পাশের ইউনিয়নের এক মহিলার মাধ্যমে গত ১৪ মাস ধরে মুক্তা ঢাকার ওই বাসায় কাজ করতেন। এর কিছুদিনের মধ্যে ওই মহিলা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেলে মুক্তার সাথে পরিবারের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
তার গৃহকর্ত্রী রুবীনা তাকে বাড়ির কারো সাথে যোগাযোগ করতে দিতেন না। শুধু মাসের প্রথম দিকে বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা দেয়ার সময় মুক্তা তার মা বেগমের সাথে কথা বলতে পারত। তাও আবার এক থেকে দেড় মিনিটের বেশি নয়।
তিনি আরো জানান, মুক্তার গৃহকর্তা বা কর্তীর ফোন নম্বর কখনো পাওয়া যায়নি। গত শনিবার একজন পুলিশ মুক্তার গ্রামে ফোন করে জানান মুক্তা মারা গেছে। তার লাশ নিয়ে যান।
হান্নান অভিযোগ করেন, মুক্তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে মুক্তা আত্মহত্যা করেছে না কি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্র : ইন্দিরা রোডের একটি ফ্যাটে গৃহপরিচারিকার রহস্যজনক মৃত্যু (নয়া দিগন্ত, ২৯ মে ২০১৭)