আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
ভারতের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তার বাবার ব্যক্তিগত সহকারী এম.ও. মাথাইয়ের সাথে ১২ বছর অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত ছিলেন এবং একাধিক পুরুষের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার কারণে ইন্দিরার সাথে মাথাই তার যৌন জীবনের সমাপ্তি টানেন। অবাক করার মতো হলেও ইন্দিরার যৌন জীবন সম্পর্কে এমন সব চাঞ্চল্যকর দাবিই করা হয়েছে মাথাইয়ের আত্মজীবনী ‘রেমিনিসেন্স অব দ্য নেহরু এজ’ বইয়ে।
জওহর লাল নেহরুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধীর সাথে নিজের যৌন জীবনের বর্ণনা দিতে গিয়ে মাথাই লিখেন, নিজের স্বামী ফিরোজ গান্ধীকে খুব একটা পছন্দ করতেন না ইন্দিরা। প্রায় ১২ বছরের বেশি সময় ইন্দিরার সাথে যৌন সম্পর্ক ছিল মাথাইয়ের। অবাধ এই যৌন সম্পর্কের ফলে একবার ইন্দিরা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ইন্দিরার গর্ভপাত ঘটানো হয়।
কীভাবে এই সম্পর্কের সূচনা হয় তার বর্ণনায় মাথাই লিখেন, ‘একদিন ইন্দিরা আমাকে বলে, আমি তোমার সাথে যৌন মিলন করতে চাই, আগামীকাল সন্ধ্যায় আমাকে শহর থেকে দূরে নিয়ে যাও।’
এর উত্তরে মাথাই ইন্ধিরাকে বলেন, ‘কোনো নারীর সাথে যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা নেই আমার।’
মাথাইয়ের এমন কথার পর তাকে দুটি বই দেন ইন্দিরা, যার একটি ছিল যৌনতা ও নারীর শরীর নিয়ে ডা. আব্রাহাম স্টোনের একটি বই।
তিনি আরও লিখেন, ‘ইন্দিরা সবসময় আমাকে খুব শক্ত করে ধরে জাপটে ধরত এবং বলত, ওহ, ভূপাত আমি তোমায় ভালোবাসি। আমাকে ভূপাত নামটি ইন্দিরাই দিয়েছিলেন।’
মাথাই লিখেন, ‘ইন্দিরার সাথে মিলনের আগে যৌনমিলনের অভিজ্ঞতা ছিল না আমার।’
১২ বছর পর মাথাই কেন ইন্দিরার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন, এমন প্রশ্নেরও জবাব রয়েছে বইয়ে। এ বিষয়ে মাথাই লিখেছেন, ‘ইন্দিরার শুধু একজন পুরুষের সাথেই যৌন সম্পর্ক ছিল না। একদিন আমি ইন্দিরার সাথে দেখা করতে যাই এবং তাকে ধীরেন্দ্র ব্রাক্ষচারীর সাথে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পাই।’
‘আমি ইন্দিরাকে বলি তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে। তবে সে কথা এখনই বলছি না, পরে বলছি,’ লিখেছেন মাথাই।
এ ঘটনার পর মাথাই ইন্দিরার সাথে যৌন সম্পর্কের ইতি টানেন।
ধীরেন্দ্র ব্রক্ষাচারী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর ইয়োগা প্রশিক্ষক। মাথাইয়ের সাথে সম্পর্ক শেষ হলে ইন্দিরার নিয়মিত শয্যা সঙ্গী হন ধীরেন্দ্র, বইয়ে লিখেছেন মাথাই।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত জওহর লাল নেহেরুর ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন এম.ও. মাথাই। নিজের আত্মজীবনীতে ‘শি’ শিরোনামের একটি অধ্যায়ে ইন্দিরা সম্পর্কে এমন তথ্য দিয়েছেন তিনি। বই থেকে এই অধ্যায়টি শেষ মুহূর্তে বাদ দেয়া হলেও ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে এর কপি।
সূত্র : ইন্দিরা গান্ধীর পরকীয়ার বিস্ফোরক তথ্য ‘ফাঁস’ [প্রিয় ডটকম, ১৩ জুলাই ২০১৭]