আব্দুল্লাহ আল মহসিন ।।
নিকলী উপজেলার দিনমজুর, ক্ষেতমজুর শ্রমিকরা এখন মাটিকাটার কাজে ব্যস্ত। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে, পাড়ায়, হাওরে ঘুরে শ্রমিকদের মাটিকাটার কাজ দেখতে পাওয়া যায়। এর আগে এই শ্রমিকেরা কার্তিক মাসে বর্ষার পানি শুকিয়ে গেলে বোরো জমি তৈরি করা, বীজ ফলানো, ধানের চারা রোপন করার কাজ করেন মাঘ মাস পর্যন্ত। ফাল্গুন থেকে চৈত্র মাসে শ্রমিকরা বেকারত্বের আশংকায় থাকেন। তাই তখন কমমূল্যে মাটিকাটার কাজ করেন। হাওরের মানুষেরও তখন কৃষিকাজের চাপ কম থাকে, খাল-বিল, নদী থেকে তখন মাটি এনে বাড়ির উঠোনে মাটি ভরাট করে ফসল উঠানোর জায়গা মেরামত করেন।
মাটিকাটার একজন শ্রমিকসর্দার নিকলী সদর ইউনিয়নের মীরহাটির মোহাম্মদ আলী। তিনি জানান, একফসলী চাষে শ্রমিকরা ফাল্গুন-চৈত্র মাসে বেশিরভাগ বেকার থাকে। তাই বাধ্য হয়ে নিজের খেয়ে ২০০ টাকা রোজ উপার্জন করে পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। শ্রমিক সর্দারের দাবি, আমাদের মজুরি বৃদ্ধিতে সবার আন্তরিক হওয়া উচিত।