আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
আগামী বছরের শুরুতে নির্মাণ ও কৃষিখাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া। বৃহস্পতিবার এইচআরডি কোরিয়ার ইপিএস সেন্টারের ঢাকার প্রতিনিধি লিম চুং-কিউন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. নমিতা হালদারের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সচিবের নিজ কক্ষে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস লি. (বোয়েসেল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তী। বর্তমান দেশটি ১৫ হাজারের মতো বাংলাদেশি কর্মী অবস্থান করছে। তাদের বেশির ভাগই কাজ করছেন বিভিন্ন ম্যানুফাকচারিং কোম্পানিতে।
বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি এজেন্সি বোয়েসেলের মাধ্যমে একটি প্রক্রিয়া মেনে দেশটিতে কর্মী পাঠানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সচিব ড. নমিতা হালদারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে লিম চুং-কিউন কোরিয়ায় কর্মী প্রেরণ, কর্মীদের বর্তমান অবস্থা ও আরও কর্মী নেয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি জানান, বোয়েসেলের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া আগামী বছর জানুয়ারি থেকে নির্মাণ ও কৃষিখাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সাল থেকে গ্যারান্টি বীমা এবং রিটার্ন কস্ট বীমা দাবি না করে দক্ষিণ কোরিয়া ছেড়ে দেশে ফিরে আসা ২২৭ জন বাংলাদেশি কর্মীকে বীমার আর্থিক সুবিধা দেয়া হবে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রম বা প্রাসঙ্গিক আইন অনুযায়ী কর্মীদের এ বীমা সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
লিম, চুং-কিউন জানান, বর্তমানে বাংলাদেশি কর্মী অবৈধভাবে কোরিয়ায় অবস্থানের হার পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি। যা হ্রাস করা দরকার। তিনি আরো বলেন, ইপিএস প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ও কিরগিরিস্থান দ্রুততার সঙ্গে সকল কার্যক্রম শেষ করে কোরিয়ায় কর্মী প্রেরণ করছে, যা কোরিয়া কর্তৃক অভিনন্দিতও হয়েছে। সাক্ষাৎকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার, এনডিসি ইপিএস প্রক্রিয়ায় বোয়েসেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ায় এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কন্সট্রাকশন ও প্লান্টেশন খাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এই প্রতিনিধিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। ইপিএস কোরিয়ার আওতায় যাওয়া বাংলাদেশি কর্মীদের অবৈধ অবস্থান হ্রাস করার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ও তিনি প্রতিনিধিকে আশ্বস্ত করেন। উল্লেখ্য, ইপিএস প্রক্রিয়ায় এখন পর্যন্ত শুধু ম্যানুফেকচারিং (শিল্পকারখানায়) খাতে কর্মী নেয়া হচ্ছে।
সূত্র : নির্মাণ ও কৃষি খাতে কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া [মানবজমিন, ২৮ অক্টোবর ২০১৭]
