মানবদেহে যখন রক্ত সরবরাহ কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয় তখনই ভাল্ব প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। আর হার্টের ইলেকট্রিক ব্লক বা হার্টবিট কম-বেশী হলে প্রয়োজন হয় ‘পেসমেকার’ পরিবর্তনের। দেশে দীর্ঘ দিন ধরে হার্টের বিভিন্ন ডিভাইসের দাম অনেক বেশি নেওয়ার অভিযোগ ছিলো।
জটিলতা নিরসনে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কয়েক দফায় বৈঠক করে ডিভাইস আমদানীকারক চারটি প্রতিষ্ঠানের সাথে। এই ধারাবাহিকতায় হার্টের ভাল্ব ও পেসমেকারের দাম ঠিক করে দেয়া হয়।
পাঁচ হাজার থেকে ২৬ হাজার টাকা এবং পেসমেকারের দাম পাঁচ হাজার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে হার্টের ভাল্বের দাম। নির্ধারিত দামের বেশি নেওয়া হলে শাস্তিমুলক অপরাধ হিসেবে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
মূল্য তালিকা সরকারী-বেসরকারী সকল হাসপাতালে টাঙ্গানো বাধ্যতামূলক হওয়াতে রোগী এবং তাদের স্বজন নিজেরাই ডিভাইসের দাম সম্পর্কে সচেতন হবেন বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্য বলেছে, আন্তজার্তিক বাজারে দাম বাড়লে দেশীয় বাজারে তার প্রভাব পড়বে। তবে কোন ফাঁকফোকরে যেন দাম বেশি নিতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্টরা সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সূত্র : হার্টের ভাল্ব ও পেসমেকারের দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার [চ্যানেল আই অনলাইন, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭]