দুর্নীতিবাজ আমলা আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় যখন সবাই হতাশাগ্রস্ত। অন্ধকার যখন গ্রাস করছে সবকিছু। প্রশাসক ও আমজনতার মধ্যে যখন বিরাট পার্থক্য। জনগণ যখন তার নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। আশার প্রদ্বীপ যখন নিভু নিভু। তখনই কিছু জনবান্ধব প্রশাসকের আলো দেখা যায়। আলোই আলোকিত হয় বাংলাদেশ। আলো না থাকলে, পুরো প্রক্রিয়াটাই নষ্ট হয়ে যেত। সমাজে সৃষ্ট হতো জটিলতা। সমাজ হতো জটিল থেকে জটিলতর। জটিলতার মাঝেই আলোকবর্তী ও পান্জেরী সমাজকে ও দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
স্বপ্নগুলো বুনছে। স্বপ্নের ফেরিওয়ালার মতো স্বপ্ন বিলিয়ে দিচ্ছে। স্বপ্নবাজের মতো সবাইকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এমনই একজন পান্জেরী হলেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরফদার আক্তার জামিল।
২০০৩ সালে সহকারী কমিশনার হিসেবে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। যদিও ওনার সাথে কোনদিন আমার সাক্ষাত হয়নি, কথা হয়নি। ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্কও নেই। জনগণের সাথে তার সুসম্পর্ক, জনবান্ধব সেবা ও কর্মদক্ষতা এখন প্রবাসেও সমাদৃত। জনকল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
একজন আমলা যে জনমানুষের প্রতিচ্ছবি হতে পারে তার বাস্তব উদাহারণ হলেন তরফদার আক্তার জামিল। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রাপ্ত নিউজের সত্যতার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধানে সার্বক্ষণিক ব্যস্ত। ক্লান্তিহীন পথিকের মতো জেলার অবহেলিত জনপদে সবসময়। এটা ছিলা জনগণের আশার বাহিরে।
স্বাধীনতার পর কিশোরগঞ্জের অন্যতম তরুণ প্রশাসক। ইতিবাচক কাজগুলো প্রবাসীদের সবসময় আনন্দিত করে। বাংলাদেশ হাসলে আমরা হাসি। আপনার নিয়োগ বোর্ডে যখন মেধাবি নিয়োগ পায়, রেলওয়ে টিকেট কালোবাজারিদের জন্য যখন মোবাইল কোর্ট বসানো হয়, একজন মুক্তিযোদ্ধা যখন আপনার ছাতার তলে আসে, সংস্কৃতি চর্চার জন্য টুসু’র কার্যক্রম।
আমরা স্বপ্ন দেখি, মনে করি পথ হারায়নি বাংলাদেশ। এখনও আশা আছে। জনকল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আপনার ধারাবাহিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
লেখক : দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী।
rakhi.gopal4@gmail.com