নেত্রকোনা প্রতিনিধি ।।
উপন্যাসিক, শিশুসাহিত্যিক, নাট্যকার ও সাংবাদিক সাদত আল মাহমুদের ৪৩তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৭৬ সালের ১ নভেম্বর টাংগাইল জেলা গোপালপুর উপজেলার দুবাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার শ্যামলীতে থাকেন। তার পিতা মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সাদত আল মাহমুদের পাঁচটি উপন্যাস ও একটি ভূতের গল্প ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। আরো তিনটি উপন্যাস প্রকাশনীতে রয়েছে প্রকাশের অপেক্ষায়। তার লেখা মৌলিক ও শিক্ষামূলক ১০টি নাটক পরিবেশিত হয়েছে বাংলাদেশ বেতারে। তিনি চমন-প্রকাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করেছেন “রাজাকার কন্যা”, অ্যাডর্ন পাবলিকেশন থেকে প্রকাশ করেছেন “চিতার আগুনে”, কাকলী প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করেছেন “প্রসব বেদনা”, একাডেমি প্রেস এন্ড পাবলিশার্স প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করেছেন “রমনীদ্বয়”, পূর্বাশা প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করেছেন “শেষ বেলায়”, আর সংস্কৃতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করেছেন “ভূত ধরার অভিযান” নামের এসব গ্রন্থ। তাঁর প্রতিটি গ্রন্থ পেয়েছে খুবই পাঠকপ্রিয়তা।
তিনি লেখালিখি শুরু করেন ১৬ বছর বয়স থেকেই। মানুষের সুখ-দুঃখের কথাকে পরম আদরে লিখে সাহিত্য বানিয়েছেন তিনি। যত্নে গড়া সেসব লেখা মন ছুঁয়েছে অসংখ্য পাঠকের। অনেক পাঠক তার লেখা গ্রন্থের দুঃখের কাহিনী পড়ে আবেগে চোখের জল ঝরিয়েছেন। সমাজের নানান বিষয়কে খুব সূক্ষ্মভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর কথাসাহিত্যে। তিনি লেখার মাধ্যমে সমাজে অধিকতর ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান। তাঁর উদ্দেশ্য সমাজের সমস্যা-সম্ভাবনা ও সুখ-দুঃখের কথা উপন্যাস ও গল্পের ফাঁকে ফাঁকে তুলে ধরা।
গল্প, উপন্যাস লেখা ছাড়াও তিনি সাংবাদিক হিসেবে নিজের আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছেন ১৯৯৭ সালে ঢাকার পাক্ষিক তৃতীয় মাত্রা পত্রিকার মাধ্যমে। এরপর তিনি দৈনিক সমকাল, জনকণ্ঠ, মুক্তকণ্ঠ, খোলা কাগজ, বাংলাদেশের খবর, সকালের খবর, প্রতিদিনের সংবাদ, ইনকিলাবসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সম্মানজনক পদে দায়িত্ব পালন করেন।
সাদত আল মাহমুদ ১৯৯৭’র দিকে নাটক লেখার কাজ শুরু করেন এবং ২০১৪ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি নাটক রচনা করেছেন তিনি। তাঁর লেখা নাটকগুলোর মধ্যে “শেকড়ের টানে” অন্যতম। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনেও দীর্ঘদিন নাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন।