শামীম আল মামুন ।।
প্রত্রিকায় দেখলাম বাংলাদেশে ইন্টারনেটে যোগাযোগের মাধ্যম স্কাইপে, ইমু ও ভাইবার আবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম আমরা যারা প্রবাসে থাকি। প্রতিদিন পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে বিদেশ থেকে যোগাযোগে সহজ এবং স্বল্প খরচে এই অ্যাপসগুলো ব্যবহার হয়ে আসছে। দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক খাত হচ্ছে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্স। যারা প্রবাসে থাকে কত কষ্ট করেই না অর্থ উপার্জন করেন। অথচ এই অ্যাপসগুলো বন্ধ হওয়ার ফলে সরাসরি ফোন ছাড়া যোগাযোগ সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে কষ্টার্জিত রেমিটেন্স বিদেশেই খরচ করতে হবে যোগাযোগের স্বার্থে।
সারাদিন হাড়-ভাঙ্গা খাটুনির পর রাতে ইমু ও স্কাইপির সাহায্যে পরিবারের প্রিয়মুখ দেখলে কষ্টটা অনেকটা লাঘব হতো। কিন্তু বিধিবাম, আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ইস্যুতে সরকার প্রবাসীদের এ সুযোগটাও হরণ করে নিল। যাদের টাকা দিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা অনেকটাই সচল থাকে, পদ্মা সেতু হয়, তাদের আয়ের অংশ কমে আসা মানে তো দেশেরই ক্ষতি হওয়া। তবে এটা কার স্বার্থে? voip ব্যবসায়ীদের স্বার্থে!!!! যাদেরকে সরকার গেটওয়ে লাইসেন্স দিয়েছে!!! না টাকা পাচারকারীদের স্বার্থে!! যারা এ বছর শুধু সুইস ব্যাংকেই ৭৬০০০ কোটি টাকা পাচার করেছে। সরকার তো এগুলো বন্ধ করতে পারে না। কেন প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা সাশ্রয়ের কথা সরকার একবারও ভাবেনি!? কি অপরাধ আমাদের!!!
দেশে বিমানবন্দরে যেখানে নিজের লাগেজটারই নিরাপত্তা নেই, সেখানে স্কাইপি, ইমু বন্ধ করে কী এমন নিরাপত্তা দেবে সরকার!!! এর নাম স্বাধীনতা? প্রবাসী ভাইয়েরা, আপনারা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই অসুবিধার কথা সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করুন। আশা করি সরকার এ ধরনের আত্মঘাতী (অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে) সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে।
লেখক : কোরিয়া প্রবাসী