আজিজুল হক বিপুল, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি ।।
ইতিহাস রচিত অতীত সভ্যতার লীলাভূমি বগুড়ার ঐতাহাসিক মহাস্থানগড় প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা খননে বেরিয়ে এসেছে প্রায় ২৩শ’ বছরের প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন। পূর্ব ও উত্তর পাশে করতোয়া নদী, পশ্চিমে কালীদহ সাগরখ্যাত জলাশয় আর পশ্চিম-দক্ষিণে বারনসি খাল দিয়ে ঘেরা এলাকাটি এখন মহাস্থানগড় নামে পরিচিত। ইতিহাসে এর পরিচয় এক প্রসিদ্ধ নগরী হিসেবে।
পুণ্ড্রনগর নামে অভিহিত সেই নগরীটি তৃতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে পঞ্চদশ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মৌর্য, সুঙ্গ, গুপ্ত, পাল, সেন প্রভৃতি বৌদ্ধ ও হিন্দু রাজবংশের রাজত্বের রাজধানী ও শাসনকেন্দ্র ছিল। দেশের সর্বপ্রাচীন নগরী বা সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদের নাম উঠলেই উচ্চারিত হয় পুণ্ড্রবর্ধনের নাম। এই জনপদের রাজধানীটি কালের বিবর্তনে প্রোথিত হয়েছে মহাস্থানগড়ের ভূগর্ভে। মহাস্থানগড় তাই বিশ্ব ঐতিহ্যে (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ) স্থান পাওয়ার অপেক্ষায়। এজন্য গড় এলাকায় এখনো পুরোদমে চলছে উন্নয়ন ও সংস্কারকাজ। সেই সঙ্গে দীর্ঘ বিরতির পর পুণ্ড্রনগরের শহরতলি ভাসুবিহারেও প্রত্নতাত্ত্বিক খনন জোরদার হয়।
আড়াই হাজার বছরের সভ্যতা নিয়ে মাটির নিচে নগরীটি চাপা পড়লেও তার দুর্গপ্রাচীর আর প্রবেশদ্বারের ধ্বংসাবশেষ এখনো দৃশ্যমান। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে বেরিয়ে আসা নানা নিদর্শন যেমন পর্যটকদের এখানে টানে। একইভাবে বৌদ্ধ, হিন্দু আর মুসলমানদের তীর্থস্থান হিসেবেও বর্তমানের মহাস্থানগড়ে আসে হাজারো ভক্ত ও দর্শনার্থী। আর শুধু মহাস্থানগড়ই নয়, এর পার্শ্ববর্তী প্রায় পাঁচ বর্গমাইল এলাকায় প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধনের নানা ইতিহাস-ঐতিহ্য আর স্থাপত্য নিদর্শন ছড়িয়ে থাকায় সেসব স্থানও সমান আকর্ষণীয় সর্বসাধারণের কাছে।
বগুড়া শহর থেকে ১১ কিলোমিটার উত্তরে শিবগঞ্জ উপজেলায় মহাস্থানগড়ের অবস্থান। সমতলভূমির চেয়ে ১৫ থেকে ৪৫ ফুট উঁচু বলে এই এলাকাটি গড় (উঁচু স্থান) হিসেবে পরিচিত। প্রাচীরবেষ্টিত পাঁচ হাজার ফুট দীর্ঘ ও চার হাজার ৫০০ ফুট প্রশস্ত গড়ের ভেতরে রয়েছে নানা প্রত্ননিদর্শন। এর মধ্যে যেমন পরশুরাম প্যালেস, জিয়ৎ কুণ্ড বা জীবন্ত কূপ, গোবিন্দ ভিটা, বৈরাগীর ভিটা, খোদার পাথর ভিটা, মানকালীর কুণ্ডু, মুনির ঘোন, শিলা দেবীর ঘাট ও মহাস্থান মাজার অবস্থিত; তেমনি নগরীর বাইরের প্রায় পাঁচ বর্গমাইল এলাকার মধ্যে রয়েছে বেহুলার বাসর ঘর খ্যাত গোকুল মেড়, ভীমের জাঙ্গাল, ভাসুবিহার, বিহার ধাপসহ নানা প্রত্নস্থল ও নিদর্শন।
ইতিহাসে পুণ্ড্রনগর : বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ৬৩৮ থেকে ৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি রাজমহলের কাছের কজঙ্গল থেকে পূর্ব দিকে যাত্রা শুরু করে গঙ্গা পেরিয়ে পুণ্ড্রবর্ধনে পৌঁছেন। তিনি তাঁর ভ্রমণ কাহিনীতে পুন-ন-ফ-তন-ন নামে যে নগরীর কথা উল্লেখ করেছেন, ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে বুকানন হ্যামিল্টন সেটিই যে বর্তমান মহাস্থানগড় তা নিশ্চিত করে লিপিবদ্ধ করেন। দ্বাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পণ্ডিত পরশুরাম রচিত ‘করতোয়া মাহাত্ম্য’ নামে এক সংস্কৃত কাব্যগ্রন্থেও পুণ্ড্রনগরের উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণেও পুণ্ড্র জাতি ও পুণ্ড্রনগরীর উল্লেখ রয়েছে। এসব যেমন এই জনপদের প্রাচীনত্ব প্রমাণ করে তার চেয়েও প্রকৃষ্ট প্রমাণ মিলেছে এখানে ১৯৩১ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে প্রাপ্ত ব্রাহ্মী লিপিতে। সেই প্রস্তরখণ্ডের লিপিতে পুণ্ড্রনগরের মহামাত্রকে (প্রাদেশিক শাসক) সম্রাট অশোক দুর্ভিক্ষপীড়িত জনতাকে রাজভাণ্ডার থেকে খাদ্যশস্য ও অর্থ সহায়তার নির্দেশ দেন।
পুণ্ড্রনগর হলো মহাস্থান : মহাস্থান নামটি এসেছে নানা কিংবদন্তি থেকে। এই জনপদের ইতিবৃত্ত নিয়ে রচিত ‘পুণ্ড্র’ গবেষণা গ্রন্থে অধ্যাপক মোস্তফা আলী এবং ‘ইতিকথা-পৌণ্ড্রবর্ধন’ গ্রন্থে অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান উল্লেখ করেছেন, মহাস্থান শব্দের আভিধানিক অর্থ বিখ্যাত জায়গা। স্থানটির নাম মহাস্থান হয়েছে বিখ্যাত স্নানের জায়গা থেকে। ‘করতোয়া মাহাত্ম্য’ কাব্যগ্রন্থে মহাস্থানকে বিষ্ণুর স্থায়ী আবাসস্থল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রতি ১২ বছর (এক যুগ) পর পৌষ নারায়ণী মেলায় হাজারো পুণ্যার্থী এখানে স্নানের জন্য সমবেত হন এবং প্রতিবছর চৈত্র মাসের অমাবস্যা তিথিতে এখানে স্নান অনুষ্ঠিত হয়। তবে মুসলমানদের কাছে এটি ‘মস্তানগড়’ হিসেবে পরিচিত। শাহ সুলতান মাহমুদ মাহীসওয়ার বলখী (র.) এই নগরী আক্রমণ করে ক্ষত্রিয় নৃপতি পরশুরামকে পরাজিত করে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর মাজার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তিকে নদী তীরবর্তী কিছু জমি দান করা হয়। সেই দানপত্রের সনদে এই স্থানকে মস্তানগড় হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে কেউ কেউ বাংলাদেশের ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের নায়ক মজনু শাহ মস্তানার নামানুসারে এই নামকরণ বলে মনে করেন। কারণ ১৭৬৩ থেকে ১৭৬৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মজনু শাহ মস্তানা মহাস্থানকে তাঁর কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ব্যবহার করেন।
প্রত্নতাত্ত্বিক খনন : মহাস্থানগড় এলাকায় প্রথম খননকাজ পরিচালিত হয় ১৯২৮-২৯ সালে তৎকালীন ভারতের জরিপ বিভাগের আওতায়। প্রথম পর্যায়ে বৈরাগীর ভিটা, গোবিন্দ ভিটা ও মুনির ঘোন নামে তিনটি ঢিবি এবং পূর্ব প্রাচীরের কিছু অংশে খনন পরিচালিত হয়। এরপর ষাটের দশকে কিছু অংশ এবং ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে খনন করা হয়। পরে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ-ফ্রান্স সরকারের যৌথ চুক্তির আওতায় প্রতিবছরই মহাস্থান ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রত্নতাত্ত্বিক খনন পরিচালনা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত মহাস্থান এলাকায় প্রত্নতাত্ত্বিক খননে বিভিন্ন আমলের নির্মাণ স্তরের স্থাপত্য কাঠামোর পাশাপাশি বেশ কিছু প্রত্নসামগ্রী উদ্ধার হয়।
মহাস্থান থেকে ভাসুবিহার : মহাস্থানগড় থেকে সাত কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে তিন দিকে কৃষিজমি আর একদিকে লোকালয়ঘেরা বিস্তৃত এক প্রাচীন ধ্বংসস্তূপ এখনো বিদ্যমান। পরিব্রাজক হিউয়েন সাং তাঁর ভ্রমণ বিবরণীতে একটি বিশ্ববিহারের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর বিবরণীতে ‘পো-শি-পো’ হিসেবে উল্লেখ করা সেই বিশ্ববিহারটিই বর্তমানের এই ভাসুবিহার। স্যার আলেকজান্ডার ক্যানিংহাম ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভাসুবিহার পরিদর্শন করে এটিকে হিউয়েন সাং বর্ণিত সেই বিশ্ববিহার হিসেবে নিশ্চিত করেন। হিউয়েন সাং তাঁর বর্ণনায় উল্লেখ করেন, পুণ্ড্রবর্ধনের চার মাইল পশ্চিমে ‘পো-শি-পো’ নামে বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি একটি বিরাট সংঘারাম দেখতে পান। বুরুজ ও টপমণ্ডপের উচ্চতার কারণে এই বিহারের খুবই সুখ্যাতি ছিল। তিনি এখানে ৭০০ জন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে অধ্যয়নরত অবস্থায় দেখেন। এই স্থানে গৌতম বুদ্ধ কিছুদিন অবস্থান করে দীক্ষা দেন এবং বিশ্রাম নেন। সেখানে গৌতম বুদ্ধের পদচিহ্ন সংরতি ছিল। সম্রাট অশোক পরবর্তীকালে সেখানে একটি ইটের স্তূপ তৈরি করে দেন। এ ছাড়া পূর্বাঞ্চলের বহু পণ্ডিত ও জ্ঞানী ব্যক্তি এখানে সমবেত হতেন বলে হিউয়েন সাংয়ের বিবরণীর বরাত দিয়ে স্যার আলেকজান্ডার ক্যানিংহাম উল্লেখ করেন।
ভাসুবিহারের এই প্রাচীন ধ্বংসস্তূপটি ১৯৭৩ সালে প্রথম উৎখননের আওতায় আসে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সেখানে প্রথম দফা টানা তিন বছর খননকাজ করে। পরবর্তী সময়ে কয়েক দফা খননের ফলে সেখানে বেরিয়ে আসে দুটি বৌদ্ধ বিহার ও দুটি বৌদ্ধ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ এবং অত্যন্ত মূল্যবান প্রত্নসম্পদ। প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ধারাবাহিকতায় টানা পাঁচ বছর পর এবার জানুয়ারি মাসে সেখানে পুনরায় খনন শুরু করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এবার খননে সেখানে বেরিয়ে এসেছে একটি বৌদ্ধ মন্দিরের সম্মুখভাগ, সিঁড়িপথ ও বৌদ্ধস্তূপ। এ ছাড়া নতুন একটি ঢিবিতে খনন করে পাওয়া যায় একটি প্রাচীন বিহারের ধ্বংসাবশেষ। এই বিহারটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর তারই ওপর পরবর্তীকালে একটি বৌদ্ধ মন্দির নির্মিত হয়েছিল। এখানে অব্যাহতভাবে খননকাজ চালানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা।
জাদুঘরে যা আছে : মহাস্থানগড় ও আশপাশের প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা খননের ফলে যেমন নানা মূল্যবান প্রত্নবস্তু উদ্ধার হয়, তেমনি দেশের বিভিন্ন এলাকায়ও পাওয়া যায় প্রত্নসামগ্রী। সেসব সংরণ ও প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ১৯৬৭ সালে মহাস্থানে একটি জাদুঘর স্থাপন করা হয়। জাদুঘরটি মূলত পুণ্ড্রনগরকেন্দ্রিক খনন ও সংগৃহীত প্রত্নবস্তু দিয়ে সাজানো। এখানে তৃতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে পঞ্চদশ খ্রিস্টাব্দ সময়ের প্রত্নবস্তু রয়েছে। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় কালো চকচকে মৃৎপাত্রের টুকরো, সুঙ্গ আমলের পোড়ামাটির কারুকার্যখচিত ফলক, সাঁচে ঢালাইকৃত মুদ্রা, গুপ্ত আমলের পোড়ামাটির মাথা, ভাসুবিহার থেকে প্রাপ্ত পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শতকের পোড়ামাটির ফলক, অষ্টম ও নবম খ্রিস্টাব্দের মূল্যবান পাথরের বটিকা, বেলে পাথরের বুদ্ধমূর্তি, বেলে পাথরের নকশাকৃত পিলার, পোড়ামাটির পাত্র, নবম ও দশম খ্রিস্টাব্দের বিষ্ণুমূর্তি, অবলিকেতেশ্বর মূর্তি, দত্তাত্রেয় মূর্তি, দশম ও একাদশ খ্রিস্টাব্দের বিষ্ণুমূর্তি, চামর ধারিণী, উমামহেশ্বর, সূর্যমূর্তি, লক্ষ্মী-কার্তিকসহ বিভিন্ন মূর্তি, দ্বাদশ থেকে ত্রয়োদশ খ্রিস্টাব্দের সংস্কৃত ভাষার শিলালিপি, পঞ্চদশ খ্রিস্টাব্দের (মুসলিম আমল) শিলালিপি, অলংকৃত ইট, চকচকে পাত্র ইত্যাদি।
সম্ভাবনা : মহাস্থানগড় এলাকাটি প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ও এক কিলোমিটার প্রশস্ত হলেও এর অধিকাংশই এখন জনবসতিপূর্ণ। ফলে শুধু ঐতিহাসিক স্থাপনার নিদর্শন (ইটের প্রাচীর, ঢিবি, ভবনের ধ্বংসাবশেষ) যেসব স্থানে রয়েছে তাই এখন মহাস্থানগড়ের নিজস্ব সম্পত্তি। দীর্ঘদিন সভ্যতার প্রাচীন এই এলাকায় তেমন কোনো উন্নয়ন, সংস্কার বা পর্যটকদের আকর্ষণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান করে নেওয়া সম্ভব হয়নি মহাস্থানের। তবে সম্প্রতি সেখানে বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে শুরু হয়েছে নির্মাণ ও সংস্কারকাজ। সাউথ এশিয়া ট্যুরিজম ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় মহাস্থানগড় এলাকায় পর্যটকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। দেশের প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ দলের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা থেকেও বিশেষজ্ঞ দল এসে কাজ করছে মহাস্থানে।
উন্নয়নকাজে পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক (আরডি) বাদরুল আলম। তিনি জানান, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সংস্কার ও উন্নয়নকাজ ছাড়াও ইতিমধ্যেই মহাস্থানে বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দর্শনার্থীদের খাবারের জন্য রেস্তোরাঁ, স্যুভেনির কর্নার, পিকনিক স্পট, শৌচাগার, ডরমিটরি, জাদুঘরের প্রবেশদ্বার, গাড়ি পার্কিং চত্বর, আনসার ক্যাম্প ও দর্শনার্থীদের বসার জন্য বেঞ্চ।
বাদরুল আলম বলেন, মহাস্থানগড় বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। সেই স্বীকৃতি পেতেই মহাস্থানে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ থেকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ হলে জায়গাটির গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ার পাশাপাশি এলাকার জনগণের জীবনমানেরও উন্নয়ন হবে।