সাইফুদ্দিন আহমেদ (১৯২৭ – ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০) যিনি শুধু সাইফুদ্দিন নামে অধিক পরিচিত একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা ছিলেন। এছাড়া তিনি নিয়মিত টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছেন। তিনি মূলত একজন কৌতুক অভিনেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৫৬ সালে আব্দুল জব্বার খান নির্মিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম বাংলা ও সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনেতা হিসেবে অভিষেক ঘটে। তিনি ষাটের দশক থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত চলচ্চিত্রে নিয়মিত ছিলেন। এসময় তিনি প্রায় চারশত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে মুখ ও মুখোশ (১৯৫৬), চাওয়া পাওয়া (১৯৬৭), আঁকাবাঁকা (১৯৭০), ময়নামতি (১৯৬৯), এতটুকু আশা (১৯৬৮), নীল আকাশের নীচে (১৯৬৯), জল ছবি (১৯৭১), মধু মিলন (১৯৭০), বধু বিদায় (১৯৭৮), আরাধনা (১৯৭৯), সুন্দরী (১৯৭৯), শহর থেকে দূরে (১৯৭৯), শেষ উত্তর (১৯৮০), বড় ভাল লোক ছিল (১৯৮২), চন্দ্রনাথ (১৯৮৪), দহন (১৯৮৫) ও বেদের মেয়ে জোসনা (১৯৮৯) উল্লেখযোগ্য।
১৯৭৯ সালে সাইফুদ্দিন সুন্দরী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।