শেখ মোবারক হোসাইন সাদী, বিশেষ প্রতিনিধি ।।
দেখতে দেখতে শেষ হলো সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম সাড়া জাগানো আসর “গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৯”। গতকাল রোববার (২০ অক্টোবর) বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ১০ দিনব্যাপী আলোচিত এই সাংস্কৃতিক যজ্ঞ।
রোববার আসরের সমাপনী দিনে নাটকপাড়া-খ্যাত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হয়েছে “থিয়েটার ৫২”র ১ম প্রযোজনা “নননপুরের মেলায় একজন কমলাসুন্দরী ও একটি বাঘ আসে”। সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে পরিবেশিত হয়েছে সাড়া জাগানো এ নাটকটি।
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের কৃতি সন্তান এবং বাংলাদেশের খ্যাতিমান নাট্যকার বদরুজ্জামান আলমগীর রচিত এ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন জয়িতা মহলানবীশ।
বাংলার মিথ ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মিথষ্ক্রিয়া ঘটেছে এই নাটকে। একটি যুদ্ধশিশুকে কেন্দ্র করে নাটকটি আবর্তিত হলেও এর প্রতিটি চরিত্রই এই বাংলার সাধারণ গ্রামীণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। অকাল প্রয়াত প্রাচ্যনাটের সদস্য রিঙ্কন সিকদার-এর “যাইবার আগে যাও বলে যাও” গানটি এতে ব্যবহার করা হয়েছে।
হেনড্রি সেনের সেট ডিজাইনে নাটকের আলোক পরিকল্পনা করেছেন আসলাম অরণ্য। এ.বি.এস.জেম-এর সঙ্গীত পরিচালনায় নাটকের কোরিওগ্রাফি করেছেন কামরুল হাসান ফেরদৌস, রবিন বসাক এবং নূরে খোদা মাসুক সিদ্দিক। আফছান আনোয়ারের পোশাক পরিকল্পনায় নাটকের সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন মো. নজরুল ইসলাম।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ে রয়েছেন- নূরে খোদা মাসুক সিদ্দিক, রবিন বসাক, রুবাইয়াত মনজুর পিপ, সুরভী রায়, মো: নজরুল ইসলাম, আদিব মজলিশ খান, মো. রাসেল, ইব্রাহীম তারেক, শাহিনূর শিকদার পাখি, আদ্রিতা রহমান, রামিম হাসান তপু, মোহাম্মদ নাদিম হাসান, মো. রিফাত সরকার, রায়হান খান, নূপুর শর্মা, দিপু আহমেদ প্রেম, রুদ্র রায় অপু, রাহাত ও সানি।
নাটকের নির্দেশক জয়িতা মহলানবীশ বলেন, আপনারা নাটক দেখুন। তাহলেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে নাটক করাটা যেমন যুদ্ধ, ঠিক তেমনি নাটক দেখাটাও একটা যুদ্ধ।