আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
মাদক আত্মসাৎ ও গ্রেফতার-বাণিজ্যের অভিযোগে ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহসীনকে ক্লোজড করে কিশোরগঞ্জ পুলিশলাইনে নেয়া হয়েছে। রোববার সকালে তাকে ভৈরব থানা থেকে রিলিজ দেয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, শনিবার (১৬ মে) কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার তাকে ক্লোজড করার নির্দেশ দেন। রাতে নির্দেশ থানায় পৌঁছলে রোববার সকালে তাকে ভৈরব থানা থেকে রিলিজ দেয়া হয়।
গত চার দিন আগে এসআই মহসীন শহরের নদীর পাড় এলাকায় এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে ছয় কেজি গাঁজা উদ্ধার করার পর আত্মসাৎ করে। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ ছাড়া গত ১৫ মার্চ আফজাল হোসেন নামের এক যুবককে আটক করার পর তাকে খুনের মামলার আসামি করা হবে বলে ভয় দেখিয়ে তার বাবার কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকা আদায় করে। তার বাসা শহরের ঘোড়াকান্দা এলাকায়। এসআই মহসীন বিগত জানুয়ারি মাসে শহরের আমলাপাড়া এলাকার জুয়েল নামে অপর এক যুবককে আটক করে ৩৮ হাজার টাকা গ্রেফতার বাণিজ্য করে।
এর আগে শহরের নিউটাউন এলাকার যুবক কবিরকে নারীসংক্রান্ত বিষয়ে আটক করে দেড় লাখ টাকা ঘুষ আদায় করে। পরে বিষয়টি থানায় জানাজানি হলে ওসির চাপে এসআই মহসীন ওই যুবককে ৯০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে অভিযোগ থেকে রেহাই পায়।
গত ১৮ মার্চ তার গ্রেফতার বাণিজ্য নিয়ে “দৈনিক যুগান্তরে” একটি খবর প্রকাশ হয়েছিল। খবর প্রকাশের পর পুলিশ সুপার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও করে। এরই মধ্য সে আবার ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে আত্মসাৎ করলে তাকে এবার ক্লোজড করা হয়।
ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন জানান, এসআই মহসীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পুলিশ সুপার শনিবার জেলা পুলিশলাইনে ক্লোজড করেন। তাকে আজ রোববার সকালে থানা থেকে রিলিজ করার কথা তিনি স্বীকার করেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ (বিপিএম/বার) রোববার সকালে সংবাদমাধ্যমকে মোবাইল ফোনে বলেন, পুলিশ অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এর আগে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসআই মহসীনের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি করেছি। করোনার কারণে তদন্তকাজ বিলম্ব হচ্ছে। তার সব অভিযোগ তদন্ত করা হবে।
অভিযোগ প্রমাণ হলে অফিসিয়াল বিধি অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। তাকে আপাতত জেলা পুলিশলাইনে ক্লোজড করা হলো বলে তিনি জানান।
সূত্র : যুগান্তর