ভৈরবে ধর্মান্তরিত এক ব্যক্তিকে পুলিশী হয়রানির অভিযোগ

ভৈরব সংবাদদাতা ।।
ভৈরবে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী প্রদিপ (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ঘটে সোমবার রাত প্রায় আটটায় ভৈরবপুর উত্তরপাড়া মনমরা ব্রীজসংলগ্ন কাচাবাজার এলাকায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানাধীন রাধানগর গ্রামের মৃত সচিন্দ্র বর্মণের ছেলে প্রদিপ বর্মণ বিগত প্রায় আড়াই যুগ আগে ভৈরবে এসে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি ভৈরব পৌর এলাকার ফেরদৌসি নামে মুসলিম মহিলাকে ইসলামিক শরিয়ত মতে বিবাহ করে প্রদিপ নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী মিলে বিগত প্রায় ১০/১২ বছর আগে আখাউড়া থেকে মাদকদ্রব্য এনে ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায় মাদকের ব্যবসা করেন। বিষয়টি এলাকাতে প্রচার হলে স্থানীয়দের চাপের মুখে তিনি মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়ে হোটেল ব্যবসা শুরু করেন। বিগত প্রায় ১০ বছর যাবত তিনি হোটেল ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।

গত ১৮ এপ্রিল ভৈরবপুর উত্তরপাড়া গ্রামের জনৈক মাদকসেবী তার কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় মাদকসেবী প্রদিপকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। একই দিন রাতের বেলা ভৈরব থানা পুলিশ প্রদিপকে তার হোটেল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব পৌরসভার পর পর তিনবার নির্বাচিত ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সাংবাদিক সোহেল সেনসহ স্থানীয় আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ থানায় উপস্থিত হয়ে আটক প্রদিপের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তারা দাবি করেন। তারা আরো জানা যায়, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পরদিন সকালে তাকে থানা হাজত থেকে মুক্তি দেন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ নজমুল হুদা জানান, প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে তথ্য ছিল সে হোটেল ব্যবসার অন্তরালে মাদক ব্যবসায় জড়িত। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ের পর এলাকাবাসীর সুপারিশ ও পুলিশের তদন্তে বর্তমানে সে মাদক ব্যবসায় জড়িত না থাকায় প্রদিপকে ছেড়ে দেয়া হয়। প্রদিপকে হয়রানি পুলিশের উদ্দেশ্য নয়। এটা মাদকসেবীর ভুল তথ্যের কারণে এ ঘটনা ঘটে।

Similar Posts

error: Content is protected !!