নিকলীতে ব্যাপক লোডশেডিং, রোজায় মুসল্লিদের দুর্ভোগ

load shedding nikli

আবদুল্লাহ আল মহসিন ।।
নিকলীতে পবিত্র রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ সময় ইফতার, তারাবি ও সেহেরির সময় ব্যাপক লোডশেডিংয়ে মুসল্লিদের দুর্ভোগের সীমা নেই। দিনের বেলায় থেমে থেমে বিদ্যুত থাকলেও ইফতারের সময় বিদ্যুত চলে যায়। তারাবির নামাজ শেষ হলে আবার বিদ্যুৎ দেয়া হয়। সেহেরির সময় হলে আবারো লোডশেডিং শুরু হয়।

উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৬৫টি মসজিদ তারাবির নামাজে হাজার হাজার মুসল্লি গরম সহ্য করেই আদায় করছেন। কোনো কোনো মসজিদ নিরুপায় হয়ে জেনারেটরের ব্যবস্থা করেছেন। আবহাওয়া উষ্ণ হওয়ায় জেনারেটরের বাতাস শীতল হয় না। গরমে অতিষ্ট হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিকলী কেন্দ্রীয় মসজিদের মুসল্লি হাজী ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, রমজানের শুরু থেকেই তারাবির নামাজে বিদ্যুৎ থাকেছে না। এজন্য মসজিদ কর্তৃপক্ষ জেনারেটরের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু জেনারেটরে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।

লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে দামপাড়া থেকে সাবেক ইউপি মেম্বার রফিকুল ইসলাম জানান, শুধু তারাবির নামাজের সময় নয়, ইফতার ও সেহেরির সময়ও বিরক্তিকর লোডশেডিং থাকে। অন্ধকার আর গরমে রোজা পালনকারীর কষ্টের সীমা নেই। রমজানে লোডশেডিং প্রতিকারে যোগাযোগ করা হয় কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আমাদের নিকলী প্রতিনিধিকে জোনাল অফিস জানায়, সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে নিকলী লোড চালু করলে। আমাদেরকে দেয়া হয় মাত্র ৩ মেঘাওয়াট। এখন আর লাইন চালু করতে পারি না। কবে নাগাদ সমস্যার সমাধান হতে পারে জানতে চাইলে বলেন, এটা কোনো নিশ্চয়তা নাই কবে নাগাদ হবে।

Similar Posts

error: Content is protected !!