এ ইসলাম, করগাঁও (কটিয়াদী) সংবাদদাতা ।।
কটিয়াদি উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ পাঁচলীপাড়া গ্রামের (ফাতারফোডা) হাওরে হেমন্তের ফসল (ধান) যাকে গ্রামাঞ্চলে বলে থাকে আগুইন্না (অগ্রহায়ণ) ধান। সেই পাকা ধান ক্ষেত কিছু অসাধু লোক রাতের আঁধারে গো-খাদ্য হিসাবে কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৈশাখ মাসে আগাম পানি চলে আসায় ও অতিবর্ষণে অত্র এলাকায় ধান ক্ষেতের ও অন্যান্য ফসলেরও চরম ক্ষতি হয়। তাতে অনেক কৃষকই সর্বস্ব হারান। কিন্তু বর্তমান সময়ের এই হেমন্তের ফসলে কৃষকের হাসি ফুটলেও অসাধু একটি চক্রের পাকা ধান ক্ষেত কেটে নেয়ায় সাধারণ কৃষকেরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর এহেন দুস্কর্ম যারা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ কৃষকরা ভয়ে কিছু বলতেও পারছেন না। যারা এই কাজগুলো করছে তারা সমাজের বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত। তারা সংখ্যায় কম হলেও সাধারণ মানুষ তাদের সমীহ করেই চলতে হয়।
স্থানীয় একজন অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জানান, প্রতি গোছা ধান ফলাতে প্রায় ২০ টাকার মতো খরচ হয়। একজন খেটে খাওয়া দিনমজুর তার শ্রম বিক্রির টাকা এবং নিজের হাড়ভাঙা পরিশ্রম করার ফলে যে ফসল ফলায় আর সেই কষ্টের ফসল তারা নিমিষেই রাতের আঁধারে কেটে নিচ্ছে।
দীর্ঘদিন যাবত সংঘবদ্ধ এই চক্রের অত্যাচারে সাধারণ কৃষকেরা দিশেহারা। শনিবার ১৮ নভেম্বর রাতে নগরহাটির সাধারণ কৃষক মোঃ আলাল মিয়ার জমির কাঁচা ফসল জিন্নত আলী মিয়া (এলাকায় সে গাঁজা ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত) ও তার ছেলে মামুন মিয়া কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ধান কেটে নেয়ার কথা আলাল মিয়া জিন্নত আলিকে জিজ্ঞেস করতে গেলে আরো উল্টাপাল্টা তর্কের সৃষ্টি হয়। এখনই যদি এই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা হয় তাহলেও সাধারণ কৃষক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
সাধারণ কৃষকদের এই ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় চেয়্যারম্যান, প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক আবেদন জানান এলাকার সাধারণ ও দরিদ্র কৃষকগণ।