মুশতাক আহম্মদ লিটন ।।
এ পৃথিবীর সকল মানুষই একবাক্যে স্বীকার করেন যে, শিশুরাই দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আজকের শিশুরাই আগামী বিশ্বের নাগরিক। আমরা সবাই সুন্দর, সুখী ও সমৃদ্ধশীল দেশ চাই। চাই একটি শান্তিময় বিশ্ব। যেখানে থাকবেনা হানাহানি আর ধ্বংস। এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে আমাদের শিশুকে সুন্দরও সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের মৌলিক অধিকারসহ অসংখ্য অধিকারের কথা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত কিন্তু তাদের অধিকার কি আজ প্রতিষ্ঠিত? এ বিশ্ব আজ শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়। বিশ্বব্যাপী আজ শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে যুদ্ধে, শ্রমে, উটের দৌঁড়ে ও বিভিন্ন অবৈধ কাজে। শিশুরা আজ পৃথিবীতে বড় অসহায়। প্রতিদিন এই সুন্দর পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ শিশু বিভিন্ন রোগে মারা যায়, কোটি কোটি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে, কোটি কোটি শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত, কোটি কোটি শিশু জীবন যাপন করে রাজপথে। বিশ্বব্যাপী শিশুদের পুষ্টিহীনতা, অশিক্ষা ও নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে অর্থের অভাব। অথচ প্রতিনিয়ত বিশ্বব্যাপী ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে তথাকথিত প্রতিরক্ষা খাতে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কোটি কোটি শিশু-মানবতার জীবন যাপন করেছে- এইতো আমাদের শিশু অধিকারের নমুনা। তারপরও বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহে বড়দের চোখে আঙ্গুল দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেয় শিশুদের প্রাপ্য অধিকারের কথা।
এমন হাতাশাব্যঞ্জক পরিস্থিতি সত্ত্বেও আমরা যারা শিশুদের নিয়ে কাজ করি অর্থাৎ শিশু সংগঠক- আমরা বিশ্বাস করি আজ না হউক কাল শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠিত হইবে। এ বিশ্ব হবে শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বিশ্ব। পরিশেষে কামনা করি শিশুদের প্রতি আমাদের সকলের মনোভাব হউক স্নেহশীল, দৃষ্টিভঙ্গি হোক সমতার, ভূমিকা হোক দায়িত্ববানের।
আমাদের সকলের লক্ষ্য হোক প্রতিটি শিশুকে সচেতন নাগরিক ও আদর্শ দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তোলা।
লেখক : চেয়ারম্যান, আমরা কুঁড়ি (জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন)