করিমগঞ্জে হামলার শিকার আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রতিনিধি

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

করিমগঞ্জে আওয়ামী লীগ মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে রক্তাক্ত হলেন তার প্রতিনিধি জয়কা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শফিকুল ইসলাম সুমন। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নির্বাচন অফিসের সামনে থাকা আওলাদের ব্যক্তিগত একটি গাড়ি (প্রাইভেট কার) ভাংচুর করা হয়।

মনোনয়ন নিয়ে দলীয় কোন্দলের জের ধরে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন। ওই গাড়িতে নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ ছিলেন না। তাকে নিরাপত্তার কারণে উপজেলা বাজারের বাইরে পুলিশ আটকে দিয়েছিল।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদের সমর্থক নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসছেন এ খবরে সকাল থেকে নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদের প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে লাঠি-সোটা নিয়ে অবস্থান নেয়। তারা তখন আওলাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে এবং আওলাদকে প্রতিহতের ঘোষণা দেয়।

দুপুরে নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ ২০-২৫টি গাড়ি নিয়ে করিমগঞ্জ উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাওয়ার পথে নির্বাচন অফিসের সামনের অবস্থা বিবেচনা করে উপজেলা বাজারের আগে আনন্দবাজার এলাকায় তাকে আটকে দেয় পুলিশ।

পরে আওলাদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য বেলা আড়াইটার দিকে তার প্রতিনিধি জয়কা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রিপন, সাধারণ সম্পাদক হাজী শফিকুল ইসলাম সুমন, জেলা ছাত্র লীগের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ইমতিয়াজুর রহমান খান রোমান ও আওলাদের ভাগ্নে প্রার্থীর একটি গাড়ি নিয়ে নির্বাচন অফিসের সামনে যায়।

এ সময় আগে থেকে সেখানে অবস্থান নেওয়া প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা দিয়ে আওলাদের গাড়িতে হামলা চালায়। হামলার মুখে গাড়িতে থাকা তিনজন দৌড়ে কোনো রকমে নিজেদের রক্ষা করতে পারলেও হাজী শফিকুল ইসলাম সুমন পালাতে পারেননি। তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন সুমনের বুকে পিঠে আঘাত করতে থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

করিমগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আওলাদ কিশোরগঞ্জে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে গেছেন। তিনি হয়তো মনোনয়নপত্রের ডুপ্লিকেট কপি সেখানে (করিমগঞ্জ) জমা দিতে পাঠিয়েছিলেন। যদিও তা বাধ্যতামূলক নয়। আমি পুলিশকে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানিয়েছি।

সূত্র : কিশোরগঞ্জ নিউজ

Similar Posts

error: Content is protected !!