জাহাজ চলাচলের জন্য পৃথিবীর প্রথম ‘টানেল’

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

জাহাজের জন্য দুনিয়ার প্রথম সুড়ঙ্গপথ বানাতে চলেছে নরওয়ে। পাহাড় ফুটো করে টানেল বানিয়ে এই পন্থায় দেশের অভ্যন্তরে হ্রদগুলোকে সাগরের সাথে জুড়ে দেয়া হলো এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

সাগর আর হ্রদের মিলন
‘নরওয়েজিয়ান সি’-কে উত্তর সাগরের সাথে জোড়া হবে। প্রকল্পের জন্য ২৭ কোটি ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।

বিশ্বের প্রথম জাহাজের টানেল
২০১৮ সালে এই টানেল তৈরির কাজ শুরু হবে। পাথর কেটে একটি ৩৭ মিটার উঁচু ও ২৬ দশমিক ৫ মিটার চওড়া সুড়ঙ্গ বানানো হবে। সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য হবে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার।

জলপরিবহনের বিস্তার
সুড়ঙ্গ তৈরি করার জন্য ৭৫ লাখ টন পাথর সরাতে হবে। নির্মাণকার্য্য ২০২২ সাল নাগাদ শেষ হবে বলে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সাইট থেকে যে পাথর কাটা হবে, তা জাহাজে করেই অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে।

সুড়ঙ্গে ধীরগতি
সুড়ঙ্গ দিয়ে যাবার সময় বিশেষ করে বড় জাহাজগুলোকে সাবধান হতে হবে, কেননা দু’পাশে আড়াই মিটারের বেশি জায়গা থাকবে না। কাজেই জাহাজের গতি হবে পাঁচ থেকে আট ‘নট’। একটি জাহাজকে আগের বা পরের জাহাজ থেকে ৪০০ মিটার দূরত্ব রেখে চলতে হবে। তা সত্ত্বেও এই টানেলের কল্যাণে জাহাজগুলো দশ মিনিটের মধ্যেই সাগরে গিয়ে পড়বে।

মাল পরিবহনের সমস্যা সমাধান
বর্তমানে কিয়োডসপোলেন খাড়ি অবধি ভারী মালপত্র পৌঁছানোর জন্য লরি বা ট্রাকের প্রয়োজন পড়ত। মাল বেশি হলে ট্রাকগুলোকে বেশ কয়েক চক্কর লাগাতে হতো। সুড়ঙ্গ তৈরি হবার পর ১৬,০০০ মেট্রিক টন ওজনের জাহাজ এই পথে যাতায়াত করতে পারবে। এক ঘণ্টার মধ্যে পাঁচটি জাহাজ এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করতে পারবে।

টানেলের দরকার পড়ল কেন?
বিমানে করে কিয়োডসপোলেন খাড়ি অবধি পৌঁছানো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার। ‘ফিয়র্ড’-এর আবহাওয়া প্রায়ই খারাপ থাকে। উপদ্বীপে ৪৫ থেকে ১০৬ তীব্রতার ঝড় বয়। সুড়ঙ্গ তৈরির ফলে মাল পরিবহন সহজ আর ‘ওয়েদারপ্রুফ’ হবে, বলে সরকারের প্রত্যাশা।

সময় বাঁচবে
সুড়ঙ্গ তৈরির ফলে বেশ কয়েক ঘণ্টার পথ কমবে। এছাড়া আবহাওয়া ভালো হওয়ার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হবে না– এ এলাকায় যা প্রায়ই ঘটে থাকে।

সূত্র : জাহাজের জন্য দুনিয়ার প্রথম ‘টানেল’  [ডয়চে ভেলে, ১০ এপ্রিল ২০১৭]

Similar Posts

error: Content is protected !!