অপহরণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ
সংবাদদাতা ।।
বরের বাবার যৌতুকের দাবি ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বিয়ের দিন তারিখ ধার্য্য করেও কলেজ ছাত্রী (১৮) বিয়ে পন্ড হয়ে গেছে। কলেজ ছাত্রীকে বখাটে দিন ইসলাম (২৭) উত্ত্যক্ত ও অপহরণ করে যৌন হয়রানি এবং বরের বাবা তারা মিয়া ও মা খায়রুনেছা ছেলের বিয়েতে যৌতুক দাবি করে বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার এক লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিকলী মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী গত বুধবার (১লা জুলাই) নিকলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এই অভিযোগ দাখিল করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাহবুব আলম ঘটনাটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিকলী থানা ওসিকে নির্দেশ দেন। লিখিত অভিযোগে প্রকাশ উপজেলার পূর্ব টেংগুরিয়া গ্রামের দিনমজুর বাচ্ছু মিয়ার মেয়ে কলেজে যাওয়া-আসার পথে একই গ্রামের তারা মিয়ার বখাটে ছেলে দিন ইসলাম (২৭) উত্তক্ত করে। গত ২৬ এপ্রিল সকালে কলেজছাত্রী পরীক্ষার ফি জমা দেয়ার জন্য নিজ বাড়ি হতে কলেজে যাওয়ার সময় দিন ইসলামদের বাড়ি সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের রাস্তায় পৌছলে বখাটে দিন ইসলাম ছাত্রীকে একা পেয়ে মুখ চাপা দিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করে তাদের বাড়ীর পূর্ব ভিটার একটি ঘরে নিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাতাইয়া যৌন হয়রানী করে। এ সময়ে ছাত্রীর ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী এসে ছাত্রীকে দিন ইসলামের কবল হতে উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দ্যোগ নিলে দিন ইসলামের চতুর বাবা তারা মিয়া ও মা খায়রুনেছা ছেলেকে বিয়ে করানোর জন্য লোক মারফত ছাত্রীর বাবা-মার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ছাত্রীর বাবা-মা এই বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়। ১২ মে ছাত্রীর বাবা বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করলে বরের বাবা তারা মিয়া ছেলের বিয়েতে মেয়ে পক্ষের কাছে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে; অন্যথায় এই বিয়ে হবে না। ছাত্রীর বাবা দিনমজুর বাচ্ছু মিয়া ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিতে অনিহা প্রকাশ করায় বিয়ের দিন ছেলেকে বাড়ী হতে অন্যত্র পাঠাইয়া দেয় বাবা তারা মিয়া। ধার্য্যকৃত বিয়ের দিন বিয়ে না হওয়ায় কলেজ ছাত্রী মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। দীর্ঘদিন বিয়ের অপেক্ষা শেষে এই অভিযোগ দাখিল করেন। এ ব্যাপারে নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ এ,কে,এম মাহবুব আলম বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি কিন্তু থানায় মামলা নেয়ার মত ঘটনা হয়নি। এ বিষয়ে ছাত্রীসহ তার অভিভাবককে কোর্ট আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।