নিজস্ব প্রতিনিধি, কোরিয়া থেকে ।।
“প্রবাসী সবাই একটু কষ্ট করলে নিজের হাতে ফলিয়ে দেশি সবজি, দেশি স্বাদে উপভোগ করা সম্ভব”। বলছিলেন দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ আলমগীর। তার বাড়ি নিকলী সদর ইউনিয়নের মীরহাটি গ্রামে। ২০১১ সালের মে মাসে সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান তিনি।
নাড়ির টানে ছুটি কাটাতে কিছুদিন আগে দেশে এসেছিলেন। সে সফরে বিয়ে করে আবার কর্মস্থল দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে যান। যাওয়ার সময় সাথে করে নিয়ে যান দেশীয় প্রজাতের কিছু সবজির বীজ।
- নিজের ফলানো সবজি বাগানে মোহাম্মদ আলমগীর
অনেক আশা করে আনা বীজ বপন করতে গিয়ে পড়েন নানা সমস্যায়। দেশের মাটি যেমন উর্বর এবং সহজলভ্য; ওখানে ততটা সহজ ছিল না। উপযোগী মাটি খুঁজে পেতে তার যথেষ্ট কষ্ট পোহাতে হয়েছে। কারণ, দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিগুলো পাথুরে মাটি। দীর্ঘ খোজাখুজির পর লাল বালুর মতো মাটি জোগাড়ে সমর্থ হন। এ যেন সবজি চাষ নয়, রীতিমতো অবাস্তব এক স্বপ্নের বুনন।
মে মাসের ৩ তারিখে শিম, করল্লা ও লাউ সবজির বীজ বপন করেন। এবার শুরু হয় পোকার আক্রমণ। বহু সংগ্রাম করে লাউ ও করল্লার গাছ টেকাতে সক্ষম হলেও শিম গাছটি ঢলে পড়ে। ওষুধ, সার সহজলভ্য না হওয়ায় শুধু পানি দিয়ে এগুলোর পরিচর্যা করতে থাকেন। এভাবেই নিজের জন্য ফলাতে সক্ষম হন করল্লা ও লাউ। এ পর্যন্ত অনেক করল্লা খেয়েছেন। এবার শুরু হয়েছে লাউ খাওয়া; তাও বেশ কয়েকটি ভোজন শেষ হয়েছে।
এ ধরনের উদ্যোগে তার আগামীর পরিকল্পনায় রয়েছে শিম, ডাটা শাক, পুঁই শাক ও মূলা চাষ করা। এজন্য যদিও হাড় ভাঙ্গা খাটুনি দিতে হয়, তবু নিজের হাতে ফলিয়ে দেশি সবজির স্বাদ উপভোগ! এ যেন মায়ের হাতের সে-ই চেনা ঘ্রাণ।