সংবাদদাতা ।।
নিকলী উপজেলায় ছাত্রছাত্রীদের নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজ ফটোকপি ও ছবি তোলার হিড়িক পড়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুল-মাদ্রাসার বার্ষিক পরীক্ষা পিইসি/ইবতেদায়ী সমাপনি পরীক্ষা ও জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এবার ওপরের শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পালা। ভর্তি হওয়ার জন্য প্রগেসিভ রিপোর্ট, প্রত্যয়নপত্র, পিতামাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও ছবি লাগে। প্রতিষ্ঠানের এসব শর্ত পূরণে তাই ছুটে চলছে ফটোকপি মেশিনের দোকান আর ছবি তোলার স্টুডিওতে। মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মতো প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরও ফটোকপি ও ছবি তুলতে দৌড় শুরু করেছে। ক্ষেত্রবিশেষ অভিভাবকরাও তালে তালে দৌড়ছেন।
উপজেলার ৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে বই গ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই ছবি জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নিকলী মোহরকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাদল দেবনাথ। তিনি আরো জানান, এ বছর থেকেই এই নিয়ম শুরু হয়েছে। তাই ছবি তোলার হিড়িক।
উপজেলার এ অবস্থাকে সুশীল ব্যক্তিবর্গ শিক্ষার অগ্রগতি হিসেবে মূল্যায়ন করছেন। শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন শিক্ষার্থীদের এ উৎসাহ ও উদ্দীপনাকে শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া নিকলীর জন্য উন্নয়নের লক্ষণ মনে করছেন। উপজেলা পরিসংখ্যানে নিকলীতে বর্তমান শিক্ষার হার ২৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। উল্লেখ্য, এক সময় এ উপজেলা সারা বাংলাদেশে শিক্ষার হার নিম্মে অবস্থান করেছিল। পর্যবেক্ষক মহল এখন মনে করছেন সেই দুর্নাম গুছিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্য বয়ে আনবে আমাদের এ প্রজন্ম।
ফটোকপি ও ছবি তোলার হিড়িক
