কয়েন জমা না নিলে জরিমানা

কোনো ব্যাংক কারও কাছ থেকে ধাতব মুদ্রা জমা না নিলে সেই ব্যাংককে জরিমানা করা হবে। সোমবার জরিমানার এ ঘোষণা দিয়ে এক সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
জনসাধারণের স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু লেনদেন অব্যাহত রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সার্কুলারে জানানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, ব্যক্তিগত অভিযোগপত্র এবং ফোনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অভিযোগ হতে প্রতিভাত হয় যে, তফসিলি ব্যাংকের শাখাগুলো অনেক ক্ষেত্রে তাদের গ্রাহকের নিকট থেকে ধাতব মুদ্রা যথাযথভাবে গ্রহণ করছে না। ফলে ধাতব মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে জনসাধারণ বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন, যা তাদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক লেনদেনে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।”
এজন্য সব তফসিলি ব্যাংককে গ্রাহকের কাছ থেকে মূল্যমান নির্বিশেষে যে কোনো ধাতব মুদ্রা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হল।
“নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে এবং এ বিষয়ে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘনের দায়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার আওতায় অর্থদণ্ড আরোপ করা হবে,” বলা হয়েছে সার্কুলারে।
এর আগেও ব্যাংকগুলোকে গ্রাহকদের থেকে থেকে ধাতব মুদ্রাসহ ছোট নোট (১, ২ ও ৫ টাকা) নিতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তারপরও সম্প্রতি বিভিন্ন পর্যায় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রাহক স্বার্থ কেন্দ্রে অভিযোগ আসছে যে, ব্যাংকগুলো ধাতব মুদ্রা নিচ্ছে না। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন কোম্পানির ডিলাররা এ অভিযোগ করেছেন।
বাজারে ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১, ২ ও ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা রয়েছে। ২৫ ও ৫০ পয়সার একক লেনদেন নেই বললে চলে। এছাড়া এক টাকার একক লেনদেনও কম।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি, ধাতব মুদ্রার প্রচলেনে সমস্যা হচ্ছে। একটা গুজব বাজারে আছে, ধাতব মুদ্রা চলবে না, আবার ব্যাংকগুলো যদি না নেয় তাহলে সেটা আরও জোর পায়।
“এজন্য আমরা ব্যাংকগুলোকে আগেও নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু অভিযোগ আসছে কোনো কোনো ব্যাংক শাখা ধাতব মুদ্রা নিচ্ছে না।”
এজন্য ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১১২ ধারা অনুযায়ী জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কারণ বাজারের প্রচলিত কোনো মুদ্রা কেউ নেবে না- একথা যেন বলতে না পারে।
“আমরা ব্যাংকগুলোকে বলেছি, তাদের ছোট শাখায় ন্যূনতম ১০ হাজার ও বড় শাখায় ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা রাখতে হবে। এর বেশি জমা হলে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে পারবে।”
মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক শুভংকর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিসগুলোকেও জনসাধারণ থেকে ধাতব মুদ্রা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!