আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। রোববার (১০ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি সূত্রে এ বিষয়টি জানা গেছে।
এর আগে, শনিবার (৯ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
জানা যায়, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল মনজুর হোসেন করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলায় ইউএনওর দায়িত্বে থাকাকালীন মনজুরের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই কলেজছাত্রীর। একপর্যায়ে ইউএনও ওই কলেজ ছাত্রীকে তার সরকারি বাসভবনে নিয়ে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান তিনি।
পরবর্তীতে ওই কলেজছাত্রী ও ইউএনও টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কলেজের সঙ্গে পাওয়ার হাউজের পেছনে একটি বাসায় একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। ওই কলেজছাত্রী তাকে বিয়ে করার জন্য ইউএনওকে চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা দু’জনে ভারতে বেড়াতে যান। ভারত থেকে ফিরে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেন। এরই মধ্যে বাসাইল উপজেলা থেকে বদলি হয়ে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগ দেন মো. মনজুর হোসেন।
এদিকে স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়া, ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে সম্প্রতি ইউএনও মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ওই কলেজছাত্রী। এ ঘটনা তদন্তের জন্য গত ২৯ মার্চ টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহানা নাসরিন উভয়কে নিজ নিজ প্রমাণাদিসহ তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেন।
এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) উভয় পক্ষ টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহানা নাসরিনের সঙ্গে বসেন। কিন্তু সেখানেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানা গেছে।
সূত্র : বাংলানিউজ২৪