হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১২

শেখ মোবারক হোসাইন সাদী ।।

আমরা আলোচনা করছিলাম হাওরপাড়ের শিন্নি নিয়ে। তবে এ শিন্নিগুলো যে মানত থে‌কে আসা/ করে থাকে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আজকের পর্বে আমার জানা ও সংগ্রহ করা সবগুলো শিন্নির আলোচনা শেষ করব। তবে কিছু কিছু স্থানে লক্ষ্য করা যায়, কিছু শিন্নি হাওরপাড়ের মানুষ তাদের ঐতিহ্যগতভাবে করে থাকে। তবে কিছু শিন্নি ঘটা করে হয়ে থাকে। এমনকি বেশ কয়েক দিন আগে থে‌কে দূরের আত্মীয়-স্বজনদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। কিছু শিন্নি বছরের একই সময়ে হয়ে থাকে এবং এলাকার মানুষ এমন একটি দিনের জন্য একটি বছর অপেক্ষায় থাকে। হাওরপাড়ের তেমন কয়েকটি নিয়ে আজ আলোচনা করব।

মাদার পীরের শিন্নি বা মাদার বাঁশ
মাদার পীরের শিন্নি বা মাদার বাঁশ নিয়ে আলোচনার আগে আপনাদের মাদার পীরের সাথে প্রাথমিক পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। তার জন্মস্থান আরবজাহানের পার্শ্ববর্তী তৎকালীন শাম রাজ্যের (বর্তমানে সিরিয়া) হলব নামক স্থানে। ২৪২ হিজরি সনে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে সম্ভ্রান্ত সৈয়দ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ কুদওয়াতউদ্দীন আলী আল-হাল্বী ও তার মা ছিলেন সৈয়দা ফাতিমা সানিয়া। তার পিতা ইমাম হোসেনের বংশধর এবং তার মা ইমাম হাসানের বংশধর, সে হিসেবে তিনি আল-হাসানি-ওয়াল-হোসাইনি।[*] বায়েজীদ তায়ফুর আল-বোস্তামি ছিলেন তার পীর বা আধ্যাত্মিক শিক্ষক।[*] ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুর শহরের কাছে মকানপুরে তার মাজার শরীফ অবস্থিত।[*]

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে শাহ মাদার-এর সম্মানে তার নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, সড়ক, গ্রাম, জেলা, অঞ্চলের নামকরণ হয়েছে। এর মধ্যে- বাংলাদেশে মাদারিপুর জেলা, জামালপুর জেলা, মাদারগঞ্জ উপজেলা, হাটহাজারী উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলা, দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়ন, উত্তর মাদার্শা ইউনিয়ন, সাতকানিয়া উপজেলা উল্লেখযোগ্য। ইরানের এসফাহন, মাদ্রাসা-য়ে মাদার-ই-শাহ (শাহ মাদার ধর্মতত্ত্বীয় মহাবিদ্যালয়)। পাকিস্তানে ঝিলাম জেলা, পাঞ্জাব, মৌজা জিন্দা শাহমাদার, জিন্দা শাহমাদার সড়ক, সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় জিন্দা শাহ মাদার। নেপালে সিরাহা জেলা, সগরমাথা অঞ্চল, মাদার গ্রাম উন্নয়ন সমিতি। ভারতে হাওড়া জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ঐতিহ্যবাহী মাদার শাহ বাবার মেলা।[*]

এবার আসুন হাওরপাড়ের মাদার পীরের শিন্নি কিভাবে করা হয় তার কিছু ধারণা নেয়া যাক। মাদার পীরের শিন্নি বা মাদার বাঁশ, হাওরপাড়ে এটাকে বলে “মাদার বাঁশের খেলা”। এ মাদার বাঁশ খেলা হাওরাঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়। এই বাদার বাঁশ কিসের জন্য হয়, হাওরের মানুষ কেন এই মাদার বাঁশকে এতো ভালোবাসে তা জানার জন্য জারইতলা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে ৭০ বছর যাবৎ খেলাটির আয়োজন করেন এমন একজন নারীর সাথে কথা বলি।

প্রতি বছর একই দিনে একই সময়ে এ খেলা খেলে থাকে। মাদার বাঁশ খেলাটি দেখার জন্য ১০/১২ গ্রামের মানুষের ভিড় জমে থাকে। খেলার তথ্য সংগ্রহ করার জন্য আমি নিজে গিয়েছিলাম। সেই নারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কেন এই মাদার বাঁশ খেলা হয়। এই খেলা কেন খেলতে হয় এই খেলা না খেললে কি হবে?

তার বয়স যখন সাত, মা-বাবা নিজেদের পছন্দে বিয়ে দেন জারইতলা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে। বাল্যবিয়ে হলেও সমাজ-সামাজিকতা মেনে নিয়ে এই শিশু বয়সেই সংসারের কাজে মনোনিবেশ করেন। চলছিলোও ভালোই। বিয়ের ২৩ বছর পর হঠাৎ একদিন তাকে “মাদারে” আছর করে। এর পর থেকেই তিনি সময় সময় ধ্যানে বসেন। তবে প্রথমবার যখন ধ্যান করেন তখনই তাকে “মাদার” জানালো, প্রতিবছর নির্দিষ্ট দিনে তুমি এই খেলা দেবে। এতে তোমার মঙ্গল, সকলেরও মঙ্গল হবে। সেই থেকে শুরু। গত প্রায় ৭০ বছর ধরে প্রতিবছর তিনি নির্দিষ্ট সময়ে এই খেলা করে থাকেন।

তিনি কামালপুর গ্রামের আরিছা বানু। বয়স আনুমানিক ১০০ বছর। কথোপকথনে তিনি জানালেন, আমাকে ধ্যানের মাঝে “মাদার” হুকুম করলো তার শেখানো নিয়ম ও রীতিতে এই খেলা নিয়মিত করতে হবে। না হয় তোর অসুবিধা হতে পারে। আর যদি আমার হুকুম মেনে চলিস তাহলে তোর এবং সকলেরই মঙ্গল হবে। শুরু করে দিলাম। চলছে ভালোই। যেমন “মাদার” শিখিয়েছেন ধ্যানে, সেভাবেই করে যাচ্ছি। শ্বশুরবাড়ির সবাই বিশেষ করে আমার শ্বশুর জীবিতাবস্থায় এ ব্যাপারে সব সময় সহযোগিতা করেছেন।

সমাজের নানামুখী সমস্যাগ্রস্ত মানুষেরা “মাদারে” শিন্নি দিয়ে থাকেন। যেমন- সন্তান না হওয়া, বিবাহে বাধা, ভূত-প্রেতের আছর ইত্যাদি বিষয়ে মানত করা মানুষের সমস্যা থেকে উত্তরণ হলেই তারা শিন্নি চরাতে আসেন। “মাদারের” উদ্দেশে মানত করার মাধ্যমে এ সকল রোগ থেকে মুক্তিও মিলে- জানালেন শতবর্ষী আরিছা বানু।

খেলা আয়োজনের দিন মানত করা জিনিসপত্র যেমন- মুরগি, চাল, ডাল, তেল, লাকরিসহ যে যা-ই দেন সবকিছু জমা হতে থাকে। অনেক সময় কেউ কেউ নগদ টাকাও দিয়ে থাকেন। মাদার খেলার দিন আসার আগ পর্যন্ত যা কিছু জমা হয়, সবকিছু দিয়েই নির্দিষ্ট দিনে একত্র করে শিন্নি রান্না করা হয়। পরবর্তীতে ভক্তকুলের মাঝে এগুলো বিতরণ করা হয়।

“মাদার” খেলার জন্য দরকার হয় একটি “আইল্লা” (মাটির তৈরি বিশেষ ধরনের পাত্র), মানুষের আকারের চেয়ে বড় আকারের ৫টি বাঁশ, রঙিন কাপড়, আয়না, চিরুনি ও পাকা কলা। জ্যৈষ্ঠ মাসের নির্দিষ্ট বৃহস্পতিবার মাদার খেলতে হয়। খেলার দিন জারইতলা ইউনিয়নের কামালপুরের “তৈরার মা”র (আরিছা বানু) বাড়ি থেকে তিনি নিজে আইল্লা মাথায় করে হাঁটতে থাকেন। পিছু পিছু কমপক্ষে পাঁচজন লোক নির্দিষ্ট ৫টি বাঁশ নিয়ে চলতে থাকেন। এর মধ্যে একটি বাঁশকে বলা হয় “রাজা বাঁশ”। এর ডগায় বাঁধা থাকে আয়না, চিরুনি ও পাকা কলা। অপর বাঁশগুলোর ডগায় থাকে রঙিন কাপড়। এগুলো “রানী বাঁশ” হিসেবে পরিচিত।

ঢোলের তালে অংশগ্রহণকারীরা একই ভঙ্গিতে নাচতে নাচতে এগুতে থাকেন। পেছনে পেছনে ভক্তকুলের বড় মিছিলও যুক্ত হয় তাদের সাথে। এই মিছিলটি কামালপুরের সুপরিচিত “দলাইনের পুকুরে” গিয়ে গোসল করার মাধ্যমে শেষ হয়। খেলার দিন অংশগ্রহণকারী সবার রোজা রাখতে হয়। ভেজা চাল, দুধ, কলা ও গুঁড়ের মিশ্রণে “নমশিন্নি” (মণ্ড) তৈরি করে তা দিয়েই রোজা খোলেন। এরপর চাল ও হলুদের মিশ্রণে আগেই তৈরি করে রাখা “রোড” (লবণবিহীন চটা পিঠা বা মোটা রুটি) খেতে দেওয়া হয়। “রোড” থেকে ছোট ছোট টুকরো উপস্থিত ভক্তদের মাঝেও বিতরণ করা হয়।

মিছিল চলাকালে “রাজা বাঁশ” বহনকারীর সাথে ঘটতে থাকে নানারকম কর্মকাণ্ড। তিনি ঢোলের তালে নিজের সাথে সাথে বাঁশটিকেও একই ভঙ্গিতে নাচাতে থাকেন। এ সময় বাঁশের ডগায় থাকা কলা সংগ্রহ করার জন্য মিছিলের ভক্তকুল বাঁশ ধরে ঝাঁকাতে থাকেন। ব্যর্থ হলে কখনো বাঁশ বহনকারীকেও ঝাঁকিয়ে কলা নামানের চেষ্টা করেন। তাদের বিশ্বাস, এই কলা খেলে রোগমুক্তি মেলে।

দমদম দমাদার
পাগলা মাদার
সমাধার
আমরা বাড়ির মাদার বাঁশ
ভড়ই রঙ্গিলারে,
মাসে মাসে মারে
ডঙ্খায় বারি।।

ছড়াটি বলা শেষে মাটি দিয়ে তৈরি করা মাদার বাঁশের “আসনে” ৫টি মোম ধরানো হয়। আসনের উপরে ৪টি বাঁশের মাধ্যমে টাঙানো হয় সামিয়ানা।

উপরোক্ত আলোচনাগুলো আমাকে পূর্ণতা দিতে পারেনি। তাই জানার জন্য আরো একটু প্রয়াস। এ প্রয়াসে দেখলাম এখানেও বাঁশের একটা ব্যাপার রয়েছে। সেজন্য প্রবেশ করলাম নেত্রকোনায়। তবে সরাসরি নয় ফোনে। নেত্রকোনা অঞ্চলে এ শিন্নির ভিন্নতা দেখতে পাই। এ বিষয়ে দীর্ঘ সোয়া ঘণ্টাব্যাপী কথা হয় বাংলাদেশের প্রখ্যাত মরমী কবি, সংগীতশিল্পী গোলাম মৌলার সাথে। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনা। তিনি আন্তরিকভাবে আমাকে মাদার শিন্নি বিষয়ে যা বললেন তা আমার ভাষায় নিচে তুলে ধরছি।

আগুন থেকে বাঁচার জন্য সাধারণ কৃষক শ্রেণির মানুষেরা মাদার পীরের শিন্নি মানত করে থাকে। নেত্রকোনার মাদার শিন্নির নিয়মানুযায়ী দুই (২) বাঁশের গোড়ায় সাত (৭) দিন আগে থেকে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখতে হয়। এ বাঁশগুলোকে এক কোপে কাটতে হয়। তারপর বাঁশের ডগা ঘি দিয়ে মেখে আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দিতে হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত একটা নির্দিষ্ট রঙে পূর্ণতা পায়। তবে আগুনের ছ্যাঁকাও দেয় ঢোলের একটা নির্দিষ্ট তালে। এ সময় ছ্যাঁকনকারীরা সমস্বরে বলে ওঠে-
পাগলা মাদার।।
পাগলা মাদার।।

আর এ কাজগুলো করে থাকে অবিবাহিত ছেলেরা। বাঁশগুলো নিয়ে বড় পুকুর/ দীঘি/ নদীতে নেমে গোসল করে বালকেরা। বেশ কিছুক্ষণ সাঁতারের পর সমস্বরে বলে ওঠে-
পাগলা মাদার।।
পাগলা মাদার।।

এখানে বাঁশের আকার আকৃতির ব্যাপার আছে। যে বালকের কাছে সবচেয়ে বড় আকৃতির বাঁশটা থাকে সে বলে ওঠে-
কাপড় দে মাদার।
সাদা কাপড় দে মাদার।।

আর এ বাঁশটিকে বলে রাজা। এর কাপড়ের রং হয় সাদা। তার থেকে একটু ছোট বাঁশটি যার কাছে থাকে সে বল ওঠে-
শাড়ি দে মাদার।
লাল শাড়ি দে মাদার।।
আয়না দে মাদার।
চিরুনি দে মাদার।
বাইট্টা দে মাদার।।
আতর দে মাদার।।
সুরমা দে মাদার।।

আর এ বাঁশটিকে বলা হয় রানী বাঁশ। লাল কাপড়ে মোড়ানো থাকে। এভাবে বিভিন্ন রঙের কাপড় দিয়ে মোড়ানো বাঁশগুলো নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ার ঘুরে চাল (শিন্নি) মাগে (সংগ্রহ করে)। তাদের সাথে থাকে বিভিন্ন রকমের বাদ্যযন্ত্র। এ বাদ্যযন্ত্রগুলো নির্দিষ্ট তালে বাজতে থাকে আর যুবকেরা বলতে থাকে-
পাগলা মাদার
পাগলা মাদার
……..(অগনিত বার)

তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমনভাবে বলতে থাকে যে বাদ্যযন্ত্র থেমে গেলেও সে থামে না। তখনই ধরে নেওয়া হয় যে মাদার এসেছে। তাদের শিন্নি কবুল হয়েছে। সংগীতশিল্পী গোলাম মৌলা আরো জানান, সুনামগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে এ শিন্নির প্রচলন দেখা যায়।

খোয়াজের শিন্নি
হাওরপাড়ের মানুষের একফসলি জমি বোরো। অতিবৃষ্টি বা অতিবন্যার কারণে ফসল পানিতে তলিয়ে যেত। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতো হাওরপাড়ের কৃষক। হাওরপাড়ের মানু‌ষের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল এ পানির মালিক খোয়াজ পীর। তাই পানির এ ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য খোয়াজ পীরের নামে শিন্নি মানত করে থাকে। হাওরপাড়ের মানুষের বিশ্বাস এই যে খোয়াজ পীরকে সন্তুষ্ট করা মানেই ক্ষতির হাত থে‌কে রক্ষা পাওয়া।

আমার মায়ের কাছ থে‌কে আরো জানতে পারলাম, ছোট বাচ্চারা যদি পানিতে পরে যায় এবং বেঁচে ফিরে অথবা যেন পানিতে পরে মারা না যায় সে জন্যও খোয়াজ পীরের শিন্নি মানত করত। এ শিন্নি দেওয়া হতো দুই ভাবে। যেমন-
১. খাদ্য বিশেষ ভেলায় ভাসিয়ে।
২. বিশেষ উপঢৌকন পানিতে ফেলে।

১. খাল-বিল (দুষিত/ শয়তান আছে এমন) পানিতে এ শিন্নি দিয়ে থাকে। শিন্নি হিসাবে পাঁচ জোড়া রুটি, আস্ত মুরগির মাংস কলা পাতায় দিয়ে, ছোট কলাগাছের ভেলায় ভাসিয়ে দেয়। নিয়ম অনুয়ায়ী মানতকারী এ শিন্নি খেতে পারে না। কিন্তু সাহসী কিছু যুবক আগে থেকে প্রস্তুত থাকে এমন মুখরোচক খাবার ভাসানোর পর নিয়ে আসার জন্য।

২. চাল, দশ পাই/ পয়সা, আখের গুড় ইত্যাদি খোয়াজ পীরের নাম ধরে পানিতে ফেলে দেয়।

[এ তথ্যটি সংগ্রহ করা হয়েছে আমার মায়ের কাছ থে‌কে।]

ত্রিনাদের শিন্নি
ত্রিনাদের শিন্নির সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তবে মরমী কবি ও সংগীতশিল্পী গোলাম মৌলার সাথে কথা বলে এটুকু জানতে পারলাম ত্রিনাদ একটি বাদ্যযন্ত্র। এর সাথে গাঁজা, কল্কি ও খিলি পানের একটা সম্পর্ক রয়েছে। তা প্রমাণ করে গোলাম মৌলার বলা এ লোকছড়াটি। যা আমি ফোন কল রেকর্ড করে পরে লিপিবদ্ধ করেছি। ছড়াটি এমন-
গাঞ্জা খাইলে গাঞ্জা গর্দনা অয় ফুল
বাপদাদার নাম লুপ্ত কইরা শেষ অয় গরুচোর।
আয়রে গাঞ্জা আয়রে তরা চিনি মইল্যা খাই
দুশমনের কপালে দে আশি মণ ছাই।
গাঞ্জা খাইতে যে করে মানা
কিলাইয়া কইরালাই তার দুই চওক কানা।
গাঞ্জা খাইতে যে কই মন্দ
… ইত্যাদি।

তবে তিনি জানান, এটা শিন্নি নয়, এটাকে বলে সেবা। যা মালিকের কাছে পৌঁছে দেয়। এটা অন্য একটা আধ্যাত্মিক জগৎ আরো পরে বুঝবে।

সংগ্রহ সূত্র : লেখকের মা, নেত্রকোনার মরমী কণ্ঠশিল্পী গোলাম মৌলা।
তথ্য : উইকিপিডিয়া [*]

 

সকল পর্ব :

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ২

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৩

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৪

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৫

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৬

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৭

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৮

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৯

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১০

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১১

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১২

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৩

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৪

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৫

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৬

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৭

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৮

Similar Posts

error: Content is protected !!