হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৩

শেখ মোবারক হোসাইন সাদী ।।

হাওরপাড়ের সংস্কৃতিতে বিশাল অবদান বাংলার জারিগানের। লোকগানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হাওরপাড়ের এ জারি গান। হাওরাঞ্চল তথা নিকলী, অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠাইমন, আজমিরিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে জারিগানের প্রচলন রয়েছে। হাওরাঞ্চলের জারিগান বিলুপ্ত না হলেও আগের মতো এখন আর পরিবেশিত হয় না। নামমাত্র মোকাম সাজিয়ে মিছিল করা ও মহররম উৎসব পালন করা হয়। পূর্বপুরুষ করে গেছেন তার সম্মানার্থে এখন তা পালন করে থাকে। গত ১ মহরম থেকে ১০ মহরম পর্যন্ত ঘুরেছি কটিয়াদী, নিকলী, অষ্টগ্রাম, মিঠাইমন, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা অঞ্চলে। তবে লক্ষণীয় দিক হচ্ছে, এ জারিগানের ধারক-বাহক নিরক্ষর মানুষেরাই। হাওরাঞ্চলে মহরম মাস শোকের মাস হিসেবেই প্রচলিত। এ মাসে সাধারণ কোনো শুভ কাজ করেন না হাওরাঞ্চলের জনগোষ্ঠী। যেমন- বিবাহ, সুন্নতে খতনা, ইত্যাদি।

হাওরপাড়ের সংস্কৃতির অন্যতম শাখা এ জারিগান হাওরের মানুষের ধর্মীয় উৎসব হিসেবে ধরা যায়। এ ধরনের জারিগান যেমন শোকের তেমনি আনন্দেরও। কেননা হাওরপাড়ের মানুষেরা মহরমের শোক পালনের পাশাপাশি আনন্দ উপভোগে মেতে ওঠে। কিশোরগঞ্জ জেলার প্রাচীন জনপদ অষ্টগ্রামের আউলি বাড়িতে যে আশুরা পালন করা হয় তা হাওরাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় জারি উৎসব। কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের যুক্কারপাড় গ্রামের মোকাম খাদেমের সাথে কথা বলে জানা যায়, জারিগান হাওরপাড়ের ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত হিসাবে খ্যাত। তবে আমার দেখা মতে, পরিবেশন রীতি অনুযায়ী ঐতিহ্যবাহী নাট্য বললেও ভুল হবার কথা নয়।

দামপাড়া কামালপুর

জারি একটি ফার্সি শব্দ। যার বাংলা অর্থ শোক। ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইনের কারবালার বিয়োগান্তক কাহিনীকে বর্ণনা করতে গিয়েই মহরম মাসে এ জারিগানের উদ্ভব হয়। যুক্কারপাড় গ্রামের মোকাম প্রধানদের সাথে কথা বলে ও তার পূর্বপুরুষের ধারা অনুযায়ী বলা যায়, ১৬-১৭ শতকে হাওরাঞ্চলে এ জারিগানের প্রচলন শুরু হয়। আমাদের হাওরাঞ্চলে জারি তিন ধরনের দেখা যায়। যেমন-
১। মহরমের জারি।
২। ব্যক্তিশোক জারি।
৩। আনন্দে উৎসব জারি।

১। মহরমের জারি
মহরম মাসে কারবালার বিয়োগান্তক কাহিনীকে বর্ণনা করায় যে গান তাকে মহরমের জারি বলতে পারি।

ইসলামের ইতিহাসের বিশাল অধ্যায় জুড়ে রয়েছে কারবালার ইমাম হাসান, ইমাম হোসেনের বিয়োগন্তক কাহিনী। এ কাহিনীকে হাওরপাড়ের মানুষ একছন্দের সাথে অন্যছন্দের অন্তমিল রেখে যে গান পরিবেশন করা হয় তাই মহরমের জারি। এ জারি পরিবেশনের সময় আমি যে অঙ্গভঙ্গি ও নৃত্য দেখতে পাই তাতে হাজার বছরের নাট্যরীতি খুঁজে নেওয়া যায়।

নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের মাহমুদজান ফকিরের দরবার শরীফের প্রধান খাদেম মোঃ কামাল ফকিরের (৫০) সাথে মহরম বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান- “মরমের চাঁন্দের ১০ তারিখে রসূলের খোরাইস বংশের উপরে এজিতরা আগাত আনে আর এই উদ্দেশ্যে শোক পালন করা অয়। আমডার মুসলমান জাত বা রসূলের উম্মত যারা তারা চুল, দাড়ি এবং আতে-পায়ের নক কাটে না। রোজা রাহে মরমের ১ তারিক থ্যাইক্কা ১০ হর্যন্ত রোজা রাহে। আবার কেউ কেউ তিন দিনও রাহে। মহরম চাঁন্দের প্রথম দিন টংগ্গির কুটি গারা অয় আর এই সাথে জারিগান গাওয়া হয় ১০ তারিক পর্যন্ত। ১০ তারিকের বিতরে টংগ্গি নির্মাণ ও উত্তলন করা অয়। তারপর ১০ তারিখে বিহালে টংগ্গির জাগা হরিবর্তন করা হয় এবং যে স্থানে সরায়া রাহা অয়, সেই স্থানকে বলা হয় কারবালার মাঠ। সেখানে জারিগান গাওয়ার সময় ছড়িয়ে পড়ে অনেক লোকালয়ের ভিড়। সেই স্থানে ধানের খই-মুড়ি ছিটিয়ে দেওয়া অয় টংগ্গির উপরে।”

করগাঁও যুক্কারপাড়

হাওরপাড়ের জারিগুলো অন্তরকে স্পর্শ করে। কারবালার সেই করুণ কাহিনী যেন এখনও দাগযুক্ত হয়ে আছে হাওরপাড়ের মানুষের হৃদয়ে। এমনি কিছু জারি তুলে ধরছি।
আল্লাহ ওওওও কে মারিলো? কে মারিলো দুই ভায়ো আমার
রাসুলের পিয়ার নাতনী আলীরো কুমার।।
আল্লাহ ওওওও

বয়াতির পর কোরাসদল দুই হাতে বুক চাপটিয়ে নৃত্যের ভঙ্গিতে সমস্বরে বলতে থাকে…
আসেন…উসেন।

এজিদ কাল ঘুমে রইয়াছ রে আজি বইলা কছ না তোরা,
মোহাম্মদ হানিফ দেশে আইলো দেখ না রে আজ চাইয়া
ভাঙ্গব রে তোর বালাখানা চৌদিকে যম খাড়া,
এজিদ কাল ঘুমে রইয়াছ রে,
আজি বইলা কছ না তোরা…

আল্লাহ হানিফ কই কইরে এজিদা হারামজাত,
ময়দানে পাইলে তার লইতাম এছা দাদ।
পাওদা মাড়াইতাম শির,
চড়াইয়া ভাঙতাম দাঁত।।
আল্লাহ হানিফ কই কইরে এজিদ হারামজাত…

মনে লয় রে হায় হায় শূন্যে করতাম উড়া
পত্র পাইয়া হানিফার সাজল রণের ঘোড়া
দুই ভাই মারা গেল যেন কবুতরের জোড়া
ভাইয়ের শোকে মনে লয় রে শূন্যে করতাম উড়া
পত্র পাইয়া হানিফার সাজল রণের ঘোড়া…

জয়নাল সোনার চান তুমি রণে যাইও না,
বেদরদ কাফিরের মেলে জহর মিলে তো পানি মিলে না।
যে যায় কাফিরের রণে আর তো ফিরে না,
জয়নাল সোনার চান তুমি রণে যাইও না।
দুল দুল ঘোড়ারে তুই খবর কো শুনি,
কোনোখানে ঢালিয়া আইলে সোনার চান মণি,
হাত বাড়াইয়া পুছে মা দুই নয়নে পানি…

ঝুম ঝুমা ঝুম বাজেরে হানিফার ঘোড়ার জিন,
উইড়া কান্দে পশু পঙ্খি পানিত কান্দে মিন।
ঘোড়ার লাম্ফে ভূমিকাম্ফে দেখতে চমৎকার,
আজকারও যুদ্ধে প্রভু না দেখি নিস্তার..

মোসালেম কান্দিয়া বলে আহা ভাইধন হোসেনা
আওরে কাসেম লওরে খবর যাওরে সোনার মদিনা।।
আসনে ভাসাইলো স্রোতে আমরা ফিরি ভাসিয়া
মোসালেমে কান্দিয়া বলে হাতে হাতে লওরে চিটি পথ
যে হারায়ও না কুপাতে পাঠাইয়া ভাইও খবর বুঝি লইলানা।।
ভাই-বান্ধব নাইরে বলব দুঃখ কারো ঠাঁই
মোসালেম কান্দিয়া বলে কিসের লাগি কান্দ মাগো
কলম রইছে ফিরিয়া কানলে কলম ফিরবে না গো মা
যা লিখাছে নিরানজনে।।
মোসালেম কান্দিয়া বলে নবিজির কোরাআনে শুনছি
কারবালাতে হয় মরণ ভাই-বান্ধব ইষ্টিকুটুম কেউ তো সঙ্গে যাবে না
মোসালেম কান্দিয়া বলে আহারে দারুণ খোদা
এই ছিল মোর কপালে তরাও তরাও বলে ডাকি
দেখেন আল্লাহ বাসিয়া মোসালেম কান্দিয়া বলে…

এজিদা তুই ডাট কইরা বানছস বাড়ি-ঘর
ভাঙব রে তোর বালাখানা লুটব বাড়ি-ঘর
মোহাম্মদ হানিফ দেশে আইল রে
বালা শইল্যে নাই তোর ডর পারবে না পলাইয়া
যাইতে চৌদিকে যম খাড়া এজিদ কাল
ঘুমে রইয়াছস রে এজিদ ভয় রাখস না তোরা…
আজকা তোরে শেষ করিমু রে বাড়ুনির পুত
কই তুই রে দেখ না চাইয়া হানিফ আইসাছে
দেও দানব যক্ষ পরী বাঘ পলা তার ডরে।
ভবের আশা নাই ভরসা পাঠাইমু যম ঘরে দেখ না চাইয়া
হানিফ আইসাছে তোর দামেস্ক শহরে
দেও দানব যক্ষ পরী বাঘ পালা তার ডরে…

জারইতলার ওসমন ভাণ্ডারীর সাথে লেখক

তাজিয়া মিছিল
হাওরপাড়ের তাজিয়া মিছিল শুরু হয় মহরমের ১০ তারিখে, মানে শোকের শেষ প্রহর। মহরম মাসের জারি উৎসবের শেষ যে আহাজারি তা লক্ষ্য করতে পাই এ তাজিয়া মিছিলে। এবারের গবেষণাটি করেছি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে, ঠিক নিজের মতো করে। এ তাজিয়া মিছিলে ভিডিও ও তথ্য সংগ্রহ করার জন্য প্রথমে তিনটি দল গঠন করি। তিন দলে, তিনজন দলনেতা নিবার্চন করি। আর আমি সবগুলো দলকে তদারকি করেছি। প্রথমে দলে ছিলেন হানিফ রাজ (দলনেতা), খাইরুল ইসলাম, হেলাল। তারা গিয়েছিলেন কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের যুক্কারপাড় গ্রামে। দ্বিতীয় দলে ছিলেন লিপ্টন (দলনেতা), তানজিল আহমেদ ও রক্সি। তাদের দায়িত্ব ছিল নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের কামালপুরে। তৃতীয় দলে ছিলেন কারার বদরুল মোমেন হিমেল (দলনেতা), মোঃ জুনাঈদ হাসান (রাজু) ও হারুন মিয়া। তারা গিয়েছিলেন নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের জারইতলা গ্রামে। এ তিন দলের কাজ ছিল তথ্যচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা। আমার দেখা তাজিয়া মিছিল সম্পর্কে নিচে তুলে ধরেছি।

মহরমের সময়ে দশ দিন ধরে উমাইয়া খলিফা ইয়াহিদের সেনাবাহিনীর এবং রাসূলের পেয়ারা নাতিন আলীর কুমার ইমাম হুসেনের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল। যে যুদ্ধকে অনেকে আবার খলিফা যুদ্ধ বলেন। ইমাম মহিলা ও শিশুসহ ৭১ জন যোদ্ধাকে নিয়ে কুফার দিকে অগ্রসর হয়েছিলেন। ১০ দিন একাধারে কারবালার প্রান্তরে ইয়াজিদের নিষ্ঠুর অত্যাচার অন্যায় চলমান ছিল। আর আশুরার দশম দিনে এমন মর্মান্তিক চিত্র ফুটিয়ে তুলেন তাজিয়া মিছিলের মাধ্যমে। তার অনুসারীরা এ সময় (দশম দিনে) কারবালার ঘটনা উপলক্ষ্যে শোক পালন করা এবং ইমাম হুসাইনের (রঃ) সমাধীর প্রতিকৃতি নিয়ে মিছিল করে। কারণ এমন দিনে ইমাম হুসেন শাহাদাত লাভ করেন। তাজিয়া নিয়ে মিছিল করার কারণে এর নাম হয়েছে তাজিয়া মিছিল। হাওরপাড়ে কবে বা কখন তাজিয়া মিছিলের শুরু হয় তা সুনির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য সূত্র পায়নি। তবে যুক্কারপাড় ও জারইতলার খাদেমদের কথা থেকে ধরে নিতে পারি যে মোগল আমলে অর্থাৎ ১৫-১৬ শতাদ্বীতে এর প্রচলন শুরু হয় এবং শিয়া সম্প্রদায়ের মাধ্যমে আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেলেও আজ তা বিলুপ্তির পথে। পরবর্তী প্রজন্ম এ তাজিয়া মিছিল বা আশুরা পালন করেন কিনা তা নিয়েও দ্বিধায় আছেন বর্তমান খাদেমরা।

দামপাড়া কামালপুর জারি শেষে চা বিরতি

বাংলা অভিধান মতে- তাজিয়া বিশেষ্য পদ শিয়া সম্প্রদায়ের মহরম যাত্রার বাহিত হোসেন-হাসানের কবরের প্রতীক/ গোঁয়ারা/ মহরম উৎসব।

জারিগানগুলোয় লক্ষ করা যায় বুকফাটা এক আর্তনাদের সুর। কারবালার এই বিয়োগান্তক ঘটনা সবারই জানা। আমাদের উচিৎ এই ঘটনা থেকে শোকে বিহ্বল না হয়ে প্রত্যেকের তা থেকে শক্তি সঞ্চয় করা। কেননা পৃথিবী যতদিন থাকবে, ততদিন এই কারবালা আমাদের মাঝে হাজির হবে। তবে কারবালা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত শক্তির, জাগতির।

দুলদুল ঘোড়ারে
খবর কও শুনি
কোনখানে ঢালিয়া আইলাম
সোনার চান কানি।
আবার
গুলবদন পইরাছি রণে
আয়রে আস্কর কোলে আয়
কোলে আয়রে যাদুমণি।
আরতো আমার ভরসা নাই
ভাই নাই, বান্ধান নাই,
বলব দুঃখ কার ঠাঁই
ওলবদন পইরাছি রণে
আয়রে আস্কর কোলে আয়।

সহযোগিতায় : মোহাম্মদ আজমল আহসান, সংবাদকর্মী, নিকলী মীরহাটি; কবি ও ছড়াকার শাহজাহান কবির (জংগলবাড়ী, করিমগঞ্জ); হানিফ রাজ, খাইরুল ইসলাম, হেলাল, লিপ্টন, তানজিল, রক্সি, কারার বদরুল মোমেন হিমেল, হারুন মিয়া, মোঃ জুনাঈদ হাসান (রাজু) ছড়া ও কবি, শাহজাহান কবির।

সংগ্রহ সূত্র :
১. কটিয়াদি উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের যুক্কারপাড় ও মাহমুদপুর গ্রামের আশুরা উৎসব থেকে।
২. নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের আশুরা উৎসব থেকে।
৩. নিকলী উপজেলা জারইতলা গ্রামের আশুরা খাদেম মোঃ ওসমান ভাণ্ডারির কাছ থেকে।
৪. নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের মজলিশপুরের মাহমুদজান ফকিরের দরবার শরীফের প্রধান খাদেম মো. কামাল ফকিরের কাছ থেকে।
৫. নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ ধারীশ্বর গ্রামের জারি বয়াতী মোঃ শহর আলীর কাছ থেকে।

তথ্যসূত্র : ১. উইকিপিডিয়া (জারি); ২. বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কবি মহিবুর রহিম, সংগৃহীত অংশ থেকে।

 

সকল পর্ব :

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ২

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৩

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৪

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৫

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৬

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৭

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৮

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ৯

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১০

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১১

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১২

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৩

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৪

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৫

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৬

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৭

হাওরপাড়ের সংস্কৃতি : পর্ব ১৮

Similar Posts

error: Content is protected !!